আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Repres SR রিপ্রেস এসআর ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Repres SR রিপ্রেস এসআর ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ইনডাপামাইড ১.৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
এসেনসিয়াল হাইপারটেনশন, বৃক্ষের কার্যকারিতা দুর্বল এমন রোগীর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং কনজেটিভ হার্ট ফেইলিওর জনিত লক্ষণ ও পানি ত্যাগে অস্তার চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
দিনে ১ টি ট্যাবলেট। সাধারণত সকালে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
এই ওষুধটি অথবা সালফোনামাইডের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, বৃত্তের অকার্যকারিতা, যকৃতের মারাত্মক রোগ, হাইপোক্যালেমিয়া ইলেকট্রোলাইটের অসমতা, ডায়াবেটিস, বাত ইত্যাদি।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
মাথা ঝিম্ ঝিম্ ভাব, মাথা ব্যথা, অরুচি, বমি ভাব, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, নিম্ন রক্তচাপ, হাইপোক্লোরেমিক এলকালোসিস, হাইপোন্যাট্রেমিয়া, হাইপোক্যালেমিয়া, হাইপারইউরিসেমিয়া, ত্বকে ফুসকুঁড়ি, কোলেস্ট্যাটিক জন্ডিস, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, লিউকোপেনিয়া এবং এপলাস্টিক রক্তশূন্যতা।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় সুপারিশকৃত নয়। ইনডাপামাইড গ্রহণকারী মায়েদের স্তন্যদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
সরবরাহ :
রিপ্রেস” এস আর ট্যাবলেট : ৩ x ১০ টি সাসটেইনড রিলিজ ট্যাবলেট।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ