আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Secnid সেক্নিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Secnid সেক্নিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
সেকনিডাজল ১০০০ মি.গ্রা. ডিএস ট্যাবলেট এবং ৫০০ মি.গ্রা. সাসপেনশন তৈরীর গ্র্যানুলস্ ।
নির্দেশনা :
আন্ত্রিক অ্যামিবীয় আমাশয়, যকৃতের অ্যামিবীয় প্রদাহ, ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজাইনালিস জনিত মূত্রনালী প্রদাহ ও যোনি প্রদাহ এবং জিয়ারডিয়াসিস।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রাপ্ত বয়স্ক ২ গ্রাম এর একক মাত্রা। শিশু: ৩০ মি.গ্রা./কেজি (দেহের ওজন অনুসারে) একক মাত্রা। খাদ্য গ্রহণের ঠিক আগে সেবন বাঞ্ছনীয় ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
জ্ঞাত অতিসংবেদনশীলতা, চিকিৎসার সময় রোগীদের এলকোহল গ্রহণ না করার পরামর্শ দেওয়া উচিত যে সব রোগীর ব্লাড ডিগ্ক্রেসিয়ার ইতিহাস আছে, সেসব রোগীকে সেক্নিডাজল সেবনের পরামর্শ প্রদান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
বমি ভাব, অধি-পাকস্থলিক বেদনা, ধাতব স্বাদ, জিহ্বা প্রদাহ, মুখবিবর প্রদাহ, আর্টিকেরিয়া, মাঝারি ধরনের লিউকোপেনিয়া, যা চিকিৎসা বন্ধ করার সাথে সাথে অন্তর্হিত হয়। বিরল ক্ষেত্রে ঘূর্ণানুভূতি, পেশীর অসমক্রিয়া ও ক্রিয়াজনিত অসমন্বয়, পেরেস্থেশিয়া, প্রান্তিক স্নায়ু রোগ ।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ডাইসালফিরাম, ওয়ারফেরিন। গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার গর্ভধারণকালে প্রথম তিন মাস এবং অন্যদানকালীন সময়ের মধ্যে সেবন করা উচিত নয়।
সরবরাহ :
সেকনিড” ডিএস ট্যাবলেট : ৫ x ২ টি। সেকনিড ৫০০ মি.গ্রা. সাসপেনশন : ৫০০ মি.গ্রা. সাসপেনশন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গ্র্যানুলস্।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
আরও দেখুনঃ