আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Tazocil ট্যাজোসিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Tazocil ট্যাজোসিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন। প্রতিটি ভায়ালে আছে জীবাণুমুক্ত লায়োফিলাইজড পাইপেরাসিলিন এবং ট্যাজোব্যাকটাম ফর ইঞ্জেকশন ইউএসপি যা পাইপেরাসিলিন 8.0 গ্রাম (পাইপেরাসিলিন সোডিয়াম হিসেবে) এবং ট্যাজোব্যাকটাম ০.৫ গ্রাম (ট্যাজোব্যাকটাম সোডিয়াম হিসেবে) এর সমতুল্য।
নির্দেশনা:
ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন নিম্নোক্ত সিস্টেমিক এবং/অথবা লোকাল ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমনের চিকিৎসায় নির্দেশিত:
১. নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া (মাঝারি থেকে তীব্র)
২. কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া (মাঝারি)
৩. সেলুলাইটিস, ত্বকের ফোঁড়া, ইস্কেমিক/ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের সংক্রমণ সহ সাধারণ এবং জজটিল চর্ম ও চমকলার সংক্রমণ
৪. প্রসব পরবর্তী এন্ডোমেট্রাইটিস বা শ্রোণী প্রদাহী সংক্রমন
ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণযুক্ত জ্বরসহ নিউট্রোপেনিক রোগীর (বয়স্ক, কিশোর ও শিশু) ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি:
ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন ধীর গতিতে ইন্ট্রাভেনাস ইনফিউশন হিসেবে (৩০ মিনিটের বেশী সময় ধরে) দেওয়া যেতে পারে বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর । দৈনিক সর্বমোট মাত্রা সংক্রমণের তীব্রতা এবং অবস্থানের উপর নির্ভরশীল এবং ইহা ২.২৫ থেকে ৮.৫০ গ্রা. পর্যন্ত- দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর দেওয়া যেতে পারে।
নিউট্রোপেনিক রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড সহ ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন দৈনিক ৬ ঘন্টা অন্তর । বয়স্ক ও শিশু (৪০ কেজির বেশী) যাদের বৃক্কীয় সমস্যা বিদ্যমান: হেমোডায়ালাইসিস রোগীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দৈনিক মাত্রা হল ৯ গ্রাম।
এছাড়াও যেহেতু হেমোডায়ালাইসিসের কারণে ৩০-৫০% পাইপেরাসিলিন ৪ ঘন্টায় নিঃসৃত হয়ে যায়, সেহেতু প্রতি ডায়ালাইসিসের পর অতিরিক্ত ২.২৫ গ্রাম মাত্রা প্রদান করতে হবে। ৪০ কেজির কম ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে মাত্রা মি.গ্রা./কেজি প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর, অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইডের সাথে, সর্বোচ্চ ৪.৫ গ্রা. মাত্রায় দিতে হবে।

২-১২ বছরের শিশু (বা ৪০ কেজির কম ওজন) যাদের বৃক্কীয় সমস্যা বিদ্যমান: ৫০ কেজির কম ওজনের হেমোডায়ালাইসিস শিশুদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত মাত্রা হচেছ ৪৫ মি.গ্রা./কেজি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর । প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে ওষুধের বিষক্রিয়া মনিটর করতে হবে। তদানুযায়ী মাত্রা ও সময় ব্যবধান নির্ধারণ করতে হবে।
২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত তথ্যের কারনে পাই-পেরাসিলিন/ট্যাজোন্যান্টাম ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। হেপাটিক ত্রুটির ক্ষেত্রে মাত্রা সংশোধনের প্রয়োজন নেই। চিকিৎসার সময়কাল সংক্রমণের তীব্রতা এবং ক্লিনিক্যাল ব্যাক্টেরিওলোজিক্যাল অগ্রগতির উপর চিকিৎসার সময়কাল নির্ভরশীল। তীব্র সংক্রমণে রোগের উপসর্গ বা জ্বর পাইপেরাসিলিন/ট্যাজোব্যাক্টাম এর চিকিৎসা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত চলা উচিত।
ব্যবহারবিধি :
কার্টুনের গায়ে দেখুন।
প্রতিনির্দেশনা :
যারা পাইপেরাসিলিন বা অন্য কোন বিটা-ল্যাকটাম এন্টিবায়োটিক অথবা ট্যাজোব্যাকটাম বা অন্য কোন বিটা-ল্যাকটামেজ ইনহিবিটর এর প্রতি সংবেদনশীল।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
পরিষ্কারভাবে নির্দেশিত হলেই কেবল পাইপেরাসিলিন/ট্যাজোব্যাক্টাম গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত। পাইপেরাসিলিন অল্প মাত্রায় মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয়। মাতৃদুগ্ধের ট্যাজোব্যাক্টাম এর মাত্রা জানা যায়নি। পরিস্কারভাবে নির্দেশিত হলেই কেবল স্তন্যদানকালে ইহা ব্যবহার করা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
বমি বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া (মাঝে মাঝে); স্টোমাটিক্স ডিসপেপসিয়া, কোষ্টকাঠিন্য, জন্ডিস, হাইপোটেনশন, মাথাব্যথা, অনিদ্রা এবং ইঞ্জেকশনসাইট বিক্রিয়া (কদাচিৎ)। পেটে ব্যথা, হেপাটাইটিস, এডিমা, ফ্যাটিগ এবং এসিনোফিলিয়া (খুবই কদাচিৎ); হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হাইপোক্যালাসিমিয়া, প্যানসাইটোপেনিয়া, স্টিভেনস জনসন সিন্ড্রোম এবং টক্সিক এপিডার্মাল নেক্সোলাইসিস।
সরবরাহ:
ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইনফিউশন: প্রতিটি কম্বিপ্যাকে আছে ট্যাজোসিল ৪.৫ আইভি ইফিউশনের একটি ভায়াল; ১ ব্যাগ ১০০ মি.লি. নরমাল স্যালাইন (সোলো); ১টি ডিসপোজাবল সিরিঞ্জ (২০ মি.লি.) ১টি ইনফিউশন সেট, ১টি অ্যালকোহল গ্রিপ প্যাড এবং একটি ফার্স্ট এইড ব্যান্ড ।
আরও দেখুনঃ