আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Tory টরী ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Tory টরী ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ইটোরিকক্সিব ৬০, ৯০ এবং ১২0 মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
অস্টিওআথ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী মাংসপেশীর ব্যাধি, তীব্র বাত, ডিসমেনোরিয়া এবং ডেন্টাল সার্জারী পরবর্তী ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধিঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং কৈশোর প্রাপ্ত ১৬ বছরের উর্ধ্বে: ৬০-১২০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
ইটোরিকক্সিব-এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, সক্রিয় পেপটিক আলসার, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ, ইনফ্লামেটর বাওয়েল ডিজিজ, তীব্র কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিওর এবং ১৬ বছর বয়সের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
যে সব রোগীর ক্ষেত্রে এসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড বা অন্যান্য ননস্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধ ব্যবহারের ফলে হাঁপানী, তীব্র রাইনাইটিস, নাকের পলিপ, এনজিওনিউরোটিক ইডিমা, আর্টিকারিয়া পরিলতি হয়, সে সব রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
মুখ শুকিয়ে যাওয়া, স্বাদে গণ্ডগোল, মুখে ক্ষত, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রুচি ও ওজনের পরিবর্তন, বুকে ব্যথা, অবসাদ, প্যারেঞ্ছেসিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত উপসর্গ এবং মাংসপেশীর ব্যথা।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
সুফলের মাত্রা ভ্রূণের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে বেশী হলে গর্ভাবস্থার প্রথম ও মাঝের তিন মাসে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধটি মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
মুখে খাওয়ার এন্টিকুয়াগুলেন্টস্, মূত্রবর্ধক, এ সি ই ইনহিবিটর, এসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড, সাইক্লোস্পোরিন, ট্যাক্রোলিমাস, লিথিয়াম, মেথোট্রিক্সেট, জন্মনিরোধক বড়ি, প্রেডনিসোলোন, ডিগক্সিন, ইথিনাইল ইস্ট্রাডিওল, কিটোকোনাজোল, রিফামপিসিন এবং এন্টাসিড।
সরবরাহ :
টরী” ৬০ ট্যাবলেট : ৬ x ৫ টি। টরী’ ১০ ট্যাবলেট : ৬ × ৫ টি। টরী” ১২০ ট্যাবলেট : ৪ x ৫ টি।
আরও দেখুনঃ