আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Xten এক্সটেন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Xten এক্সটেন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
এক্সটেন ট্যাবলেট : প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে টেনোক্সিকাম বিপি ২০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা :
এক্সটেন নিম্নোক্ত ব্যথা, প্রদাহ ও হাড়ের ক্ষয়প্রাপ্ত অবস্থায় কার্যকরী: রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, অস্টিওআরথ্রাইটিস, অ্যানকা ইলোজিং, স্পন্ডিলাইটিস,এক্সট্রা,আর্টিকুলার, ডিজঅর্ডার অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, তীব্র গেটে বাত, প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়া
মাত্রা ও সেবনবিধি :
প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়া, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা ও তীব্র গেটে বাত ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২০ মি.গ্রা. করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেবন করা শ্রেয়। প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়া: প্রতিদিন ২০-৪০ মি.গ্রা. অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা: প্রতিদিন ৪০ মি.গ্রা করে পাঁচ দিন।
তীব্র গেটে বাত: ৪০ মি.গ্রা. দিনে একবার করে ২ দিন। অতঃপর ২০ মি.গ্রা. করে পরবর্তী পাঁচ দিন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১০ মি.গ্রা. করে দেয়া যেতে পারে। ট্যাবলেটটি এক গ্লাস পানি সহযোগে সেবন করা উত্তম। খাবারের সাথে বা খাবার গ্রহণের পরপর ট্যাবলেটটি সেবন করা শ্রেয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে :
শিশুদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার ও মাত্রা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
প্রতিনির্দেশনা :
টেনোক্সিকাম অথবা অন্য কোন ব্যথা ও প্রদাহরোধী ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলদের ক্ষেত্রে দেয়া যাবে না। যে সমস্ত রোগীর এসপিরিন অথবা অন্য ব্যথা ও প্রদাহবিরোধী ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতার কারনে হাঁপানি, আর্টিকারিয়া অথবা রাইনাইটিস এর তীব্রতা বাড়ে, যাদের পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ যেমন গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দেয়া যাবে না।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া :
টেনোক্সিকাম প্রয়োজনীয় মাত্রায় সুসহনীয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত মৃদু ও কম দেখা যায়। বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে (৯১% রোগীর ক্ষেত্রে) পাকস্থলী ও পরিপাক নালীর অস্বস্তি, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, হৃৎপিন্ডে জ্বালাপোড়া, ঘুম ঘুম ভাব, মাথাব্যথা।
তাছাড়াও কিছু কিছু রোগীর (<১%) কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইরিয়া, পাকস্থলীর প্রদাহ, বমি, আলসার, পরিপাক তন্ত্রের রক্তক্ষরণ, অবসাদ, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, চুলকানি, আর্টিকারিয়া, ক্রিয়াটিনিন বেড়ে যাওয়া, যকৃতে এনজাইমের কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
টেনোক্সিকামের অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া নিম্নরূপ: অ্যাসিটাইল স্যালিসাইলেট ও স্যালিসাইলেটস্ স্যালিসাইলেটের সাথে গ্রহণে টেনোক্সিকামের ক্লিয়ারেন্স ও ভলিউম অব ডিস্ট্রিবিউসন বেড়ে যায়। রক্ত জমাট বাধাদানকারী ওষুধ ও এসএসআরআই: এ জাতীয় ওষুধের সাথে ব্যবহারে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের প্রবণতা বেড়ে যায়।
মিথোট্রিকজেট: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথোট্রিকজেট ও প্রদাহবিরোধী ওষুধের যৌথ ব্যবহারে কিছু মারাত্মক বিষক্রিয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। মূত্রবর্ধক ও রক্তচাপবিরোধী ওষুধ: টেনোক্সিকামের সাথে ফ্রুসেমাইডের যৌথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
কিন্তু টেনোক্সিকাম হাইড্রোক্লোরথায়াজাইডের রক্তচাপ কমানোর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। টেনোক্সিকাম ধ-অ্যাডেনার্জিক ব্লকার ও এসিই ইনহিবিটর-এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
প্রোস্টাগ্লান্ডিন উৎপাদনে বাধা প্রদাকারী ওষুধ সমূহ ব্যবহারের ফলে প্রসবে জটিলতা তৈরী হতে পারে। থার্ড ট্রাইমেস্টারে ইহার ব্যবহার পরিহার করা প্রয়োজন। টেনোক্সিকাম খুব সামান্য পরিমানে (০.২%) মাতৃদুগ্ধে প্রবেশ করে।
স্তন্যদানকারী কোন মায়ের টেনোক্সিকাম সেবনের ফলে শিশুর ক্ষেত্রে কোন প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তথাপি নবজাতকের ক্ষেত্রে মায়ের টেনোক্সিকাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত অথবা ওষুধ সেবনকালে শিশুকে দুগ্ধদান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
সরবরাহ :
এক্সটেন ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে আছে ৩০টি ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালু ব্লিস্টার প্যাকে।
আরও দেখুনঃ