আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Acetram এসিট্রাম ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Acetram এসিট্রাম ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
এসিস্ট্রাম ট্যাবলেট: প্যারাসিটামল বি.পি. ৩২৫ মি.গ্রা.এবং ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড বি.পি.৩৭.৫ মি.গ্ৰা.
নির্দেশনা:
এসিস্ট্রাম ট্যাবলেট মাঝারী এবং মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত এসিস্ট্রামM ট্যাবলেট তীব্র ব্যথার স্বল্প মেয়াদী (৫ দিন অথবা এর কম) চিকিৎসায়ও নির্দেশিত।
মাত্রা এবং সেবনবিধি:
এসিস্ট্রাম খাবারের আগে বা পরে যেকোন সময় সেবন করা যেতে পারে। মাঝারী অথবা মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় ১-২টি ট্যাবলেট প্রতি ৪ অথবা ৬ ঘন্টা পর পর এবং দিনে সর্বোচ্চ ৮টি ট্যাবলেট সেবন করা যায়। তীব্র ব্যথায় স্বল্প মেয়াদী (৫ দিন অথবা এর কম) চিকিৎসায় ২টি ট্যাবলেট প্রতি ৪ অথবা ৬ ঘন্টা পর পর (দিনে সর্বোচ্চ ৮টি ট্যাবলেট) সেবন করা যায়।
প্রতিনির্দেশনা:
ট্রামাডল, প্যারাসিটামল অথবা এ ওষুধের অন্য যে কোন উপাদান বা অপিয়ড -এর প্রতি সংবেদনশীল রোগীকে এ ওষুধটি দেয়া উচিত নয় । যে সকল ক্ষেত্রে অপিয়ড প্রতিনির্দেশিত, সেসব ক্ষেত্রে এ ওষুধটিও প্রতিনির্দেশিত।

সতর্কতা:
এটি গাড়ী চালানো অথবা মেশিন পরিচালনার মত জটিল কাজ করতে যে পরিমান মানসিক ও শারীরিক দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার ব্যঘাত ঘটাতে পারে। এই ওষুধটি অ্যালকোহলযুক্ত কোমল পানীয়র সাথে সেবন করা উচিত নয়।
অন্যান্য ট্রামাডল অথবা প্যারাসিটামল যুক্ত ওষুধের সাথে এবং OTC ওষুধের সাথে একত্রে এই ওষুধটি সেবন করা উচিত নয়। ট্রানকুলাইজার, হিপনোটিকস অথবা অন্যান্য অপিয়ড এনালজেসিক এর সাথে সেবন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
বৃক্ক সংক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার:
এসিস্ট্রাম’ বৃক্কের সমস্যাজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত নয় । যে সকল রোগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./ মিনিট এর কম তাদের ক্ষেত্রে দুটি মাত্রার মধ্যবর্তী সময় বাড়াতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতি ১২ ঘন্টায় ২টি ট্যাবলেটের বেশি না হয়।
যকৃতের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেঃ
এসিটাম যকৃতের সমস্যাগ্রস্থ রোগীদের উপর নিরীক্ষিত নয় । তাই এর ব্যবহার এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
এসিস্ট্রাম’ সেবনে নিম্নলিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে: এসথেনিয়া, অবসন্নতা, হটক্লাস, ঝিমুনি, মাথাব্যথা, কাঁপুনি, পেটব্যাথা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, মুখগহ্বরের শুষ্কতা, বমি, এনোরেক্সিয়া, উৎকণ্ঠা, দ্বিধা, ইউফোরিয়া, নির্ঘুমতা, বিচলতা, সোমনোলেন্স, প্রুরাইটাস, র্যাশ,অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি ।
গর্ভবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। গর্ভবতী মহিলাদের উপর এখনো কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেবল ভ্রূনের ক্ষতির ঝুকির তুলনায় চিকিৎসায় মায়ের উপকারের পরিমান অতিমাত্রায় বিবেচিত হলে, কেবলমাত্র সে ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থায় এ ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে ।
যেহেতু নবজাতক এবং ইনফেন্টদের উপর এ ওষুধটির নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয়, তাই অবসটেট্রিক্যাল প্রি-অপারেটিভ মেডিকেশন এবং ডেলিভারী পরবর্তী এনালজেসিক হিসেবে নার্সিং মায়েদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি নির্দেশিত নয় ।
সরবরাহ:
প্রতি বাক্সে আছে ৩০টি ট্যাবলেট রিস্টার প্যাক -এ।
আরও দেখুনঃ