আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Angilock এনজিলক ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Angilock এনজিলক ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
লোসারটেন পটাসিয়াম। ২৫, ৫০ ও ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
সব ধরণের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
নিয়মিত মাত্রা ৫০ মি.গ্ৰা. দিনে একবার। তবে ২৫-১০০ মি.গ্রা. প্রতিদিন রোগীর অবস্থা বুঝে ব্যবহার করা যায়। বয়োবৃদ্ধ রোগীদের মাত্রা নিম্নমাত্রায় অর্থাৎ ২৫ মি.গ্রা. দিনে একবার ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে। বৃক্কের অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে অথবা ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে এরকম রোগীর মাত্রা শুরুতে নিম্ন মাত্রায় অর্থাৎ ২৫ মি.গ্রা. ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
অতি সংবেদনশীলতা, উচ্চমাত্রায় মূত্র বর্ধক ব্যবহারের ফলে যাদের শিরাপথে রক্ত প্রবাহ কমে যায় সেসব রোগীদের মাত্রা নিম্নরক্তচাপ দেখা দিতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
মাথা ঝিমঝিম করা, ফুসকুঁড়ি এবং এনজিওইডিমা, যেমন মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা ফুলে যাওয়া কদাচিৎ দেখা দিতে পারে। বৃত্তীয় সমস্যা আছে এ ধরণের রোগীদের মাত্রা মারাত্মক নিম্নরক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ক্লিনিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি। হাইড্রোক্লোরোথ ায়াজাইড, ডিগোক্সিন, ফেনোবারবিটোন, ওয়ারফেরিন, কিটোকোনাজল এবং সিমেটিডিনের উপর এ ক্ষেত্রে ফার্মাকোকাইনেটিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার ব্যবহার করা উচিত নয় ।
সরবরাহ :
এনজিলক® ২৫ ট্যাবলেট : ৫ x ১০ টি। এনজিলক® ৫০ ট্যাবলেট ৫ x ১০ টি। এনজিলক® : ১০০ ট্যাবলেট : ৩ x ১০ টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ