হরমোন নিয়ে ধারণা | বেসিক অ্যানাটমি ও ফিজিওলজি

হরমোন নিয়ে ধারণা ক্লাসটি “বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি” কোর্সের অংশ। এই কোর্সটি বাংলাদেশের ডিপ্লোমা স্তরের প্রতিটি মেডিকেল শিক্ষাক্রমে পড়ানো হয়। যেমন মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল (Medical Assistant Training School, MATS) বা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (Diploma in Medical Faculty, DMF)।

এই কোর্সটি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি (Diploma in Nursing and Midwifery) কোর্সেরও অংশ। বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা (Medical Education in Bangladesh) ও বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (Medical Students in Bangladesh) সহায়তা করতে আমাদের এই উদ্যোগ।

 

হরমোন নিয়ে ধারণা

হরমোন (ইংরেজি: Hormone, গ্রিক: ὁρμή) বা প্রাণরস এক ধরনের জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়ে রক্তরস বা ব্যাপন প্রক্রিয়ায় উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে বাহিত হয়ে দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়ার পর ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। হরমোন কথার অর্থ হল ‘জাগ্রত করা’বা ‘উত্তেজিত করা’।

 

 

প্রাণী, উদ্ভিদ এবং ছত্রাকের সঠিক বৃদ্ধির জন্য হরমোনের প্রয়োজন রয়েছে। উৎপাদিত জায়গা হতে পরিবাহিত হয়ে ক্রিয়া-বিক্রিয়ার কারনে বিভিন্ন প্রকারের রেনুর শ্রেনীকে হরমোন বলা যায়। যে সমস্ত পদার্থকে হরমোন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় তার মধ্যে রয়েছে স্টেরয়েড জাতীয় যেমন ইস্ট্রোজেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড যেমন অক্সিন, আইকোসানয়েড জাতীয় যেমন প্রোস্টাগ্ল‍্যান্ডিন, প্রোটিন জাতীয় যেমন ইনসুলিন এবং গ্যাস জাতীয় যেমন ইথিলিন।

শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও কোষের মধ্যে যোগাযোগ করে হরমোন। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং আচরণিক কাজ যেমন পরিপাক, শ্বাস প্রশ্বাস, ঘুম, দৈহিক বৃদ্ধি, চলাফেরা, প্রজনন ইত্যাদি কাজে হরমোনের ব্যপক ভূমিকা রয়েছে। গাছের মধ্যে হরমোন ব্যপক ক্রিয়া করে থাকে প্রায় সব রকমের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ এবং বয়োবৃদ্ধ হওয়া। 

 

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কোষীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে হরমোন বিশেষ রিসেপ্টর প্রোটিনসহকারে প্রেরণ করে ফলে কোষের সাথে মিশে তা কোষের কার্যক্রম পরিবর্তন করে। এটি কোষের সাথে মেশার ফলে সংকেত পাঠায় জিনে যা থেকে জিন বুঝতে পারে কোন প্রোটিনগুলো বাড়াতে হবে। হরমোন দ্রুত, জিনগত নয় এমন পদ্ধতিতেও কাজ করে থাকে যার ফলে জিনের সাথে সমন্বয় সাধিত হয়।

জলে দ্রবীভূত হরমোন যেমন পেপটাইড সাধারণত কোষের উপরিভাগে কাজ করে সেকেন্ড মেসেনজার হিসেবে। লিপিড দ্রবীভূত যেমন স্টেরয়েড সাধারণত কোষের প্লাজমা মেমব্রেন ভেদ করে নিউক্লিয়াসের সাথে কাজ করে। এক্ষেত্রে গাছের পাওয়া যায় এমন একটি হরমোন যার নাম ব্রাসিনোস্টেরয়েড হল ব্যতিক্রম যেটি লিপিড দ্রবীভূত হয়েও কোষের উপরিভাগে কাজ করে।

 

 

মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে এন্ডোক্রিন গ্রন্থি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হল বিশেষায়িত প্রত্যঙ্গ যা এন্ডোক্রিন সংকেত বহন ব্যবস্থায় হরমোন নিঃসরণ করে থাকে। “এন্ডোক্রিন” মানে হল রক্তে যা সরাসরি মিশে যায়। বেশিরভাগ হরমোনই নিঃসৃত হয় এন্ডোক্রিন গ্রন্থি থেকে।.এর বিপরীত হল “এক্সোক্রিন” বা বহিঃক্ষরা, এই হরমোন নিঃসৃত হয় শরীর মধ্যস্থ বিভিন্ন নালী এবং ডাক্ট দিয়ে। এক্সোক্রিন গ্রন্থি হতে উৎপাদিত কিছু হরমোন শরীরের বাইরে নিঃসৃত হয় যেমন ঘর্মগ্রন্থি, লালাগ্রন্থি, স্তনগ্রন্থি ইত্যাদি। হরমোন প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯০২ সালে। সেটি ছিল সিক্রেটিন হরমোন। ১৯০৫ সালে হরমোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

 

হরমোন নিয়ে ধারণা নিয়ে বিস্তারিত :

 

 

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment