Ostel অস্টিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ostel অস্টিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Ostel অস্টিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান :

এলেনড্রোনেট সোডিয়াম ১০ ও ৭০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।

 

Ostel অস্টিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

নির্দেশনা :

১. মেনোপেজ পরবর্তী মহিলার অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় : অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসায় এলেনড্রোনিক এসিড হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে হাড় এবং কোমর, কব্জি ও মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গা প্রতিরোধ করে।

২. পুরুষের অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসায় হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।

৩. পুরুষ ও মহিলাদের গ্লুকোকটিকয়েড জনিত অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসায়

৪. পুরুষ ও মহিলাদের প্যাগেটস্ চিকিৎসায়, যাদের ক্ষারীয় ফসফেট স্বাভাবিক সীমার অন্তত দ্বিগুন অথবা যাদের উপসর্গ আছে অথবা যাদের এই রোগ থেকে ভবিষ্যতে জটিলতার ঝুঁকি আছে।

মাত্রা ও সেবনবিধি :

মেনোপেজ পরবর্তী মহিলার অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসায় প্রতি সপ্তাহে একটি ৭০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট অথবা প্রতিদিন একটি ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।

মেনোপেজ পরবর্তী মহিলার অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে :

প্রতি সপ্তাহে একটি ৩৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট অথবা প্রতিদিন একটি ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। অস্টিওপোরোসিস সম্পন্ন পুরুষদের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির চিকিৎসায়। প্রতি সপ্তাহে একটি ৭০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট অথবা প্রতিদিন একটি ১০. মি.গ্রা. ট্যাবলেট।

নারী ও পুরুষের গ্লুকোকটিকয়েড সম্পর্কিত অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসায়

৫ মি.গ্রা. প্রতি দিন একটি, এস্ট্রোজেন গ্রহণ করছে না এমন মেনোপেজ পরবর্তী মহিলা ব্যতীত, যাদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে ১০ মি. গ্রা. ট্যাবলেট একটি।

হাড়ের প্যাগেটস্ রোগে :

৬ মাসের জন্য ৪০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একটি করে। পর্যাপ্ত শোষনের জন্য অস্টিল অবশ্যই সকালের নাস্তা, পানীয় অথবা ওষুধ খাবার ৩০ মিনিট আগে পানির সাথে খেতে হবে। অন্যান্য পানীয়, খাদ্য এবং কিছু ওষুধ এলেনড্রোনেটের শোষণ কমিয়ে দেয়।

ঘুম থেকে উঠার পর এক গ্লাস পানির সাহায্যে অস্টিল সেবন করলে এর পাকস্থলীতে সরবরাহ সহজতর হয় এবং ইসোফেগাসের জ্বালাপোড়া কম হয়। ওষুধ সেবনের পর ৩০ মিনিট পর্যন্ত রোগীর শোয়া যাবে না। ট্যাবলেট চুষে যাবে না। অস্টিল ঘুমানোর সময় সেবন করা উচিত না।

 

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রতি নির্দেশনা :

• ইসোফেগাসের অস্বাভাবিকতা যা ইসোফেগাস খালি হওয়াকে বিলম্ব করে যেমন- স্ট্রিকচার বা একালাসিয়া

• কমপক্ষে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে বা সোজা হয়ে বসে থাকতে অপরাগতা

• ওষুধের কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা

• হাইপোক্যালসিমিয়া

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :

চিকিৎসা শুরু করার আগে হাইপোক্যালসেমিয়া এবং অন্যান্য খনিজের শোষণ সম্পর্কিত অসুবিধা অবশ্যই ঠিক করতে হবে। এলেনড্রোনিক এসিড সেবনের ফলে পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগ জ্বালাপোড়া করতে পারে।

যেসব রোগীর পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগে সমস্যা আছে যেমন- ডিসফ্যাজিয়া, ইসোফেগাসের অসুখ- পাকস্থলী ও ডুওডেনামের প্রদাহ অথবা আলসার তাদের ক্ষেত্রে এলেনড্রোনেট এসিড দেয়ার ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যদি ক্রমে ইসোফেগাসের অসুখের লক্ষণাদি প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বয়স্ক রোগী এবং বৃক্কের মৃদু থেকে মাঝারি অকার্যকারিতা (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩৫-৬০ মিলি/মিনিট) আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে মাত্রা সংশোধন করার প্রয়োজন হয় না। তবে বৃক্কের তীব্র অকার্যকারিতার (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <৩৫ মিলি/ মিনিট) ক্ষেত্রে অস্টিল’ দেয়া যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত মৃদু হয় এবং চিকিৎসা বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে- ইসোফেগাসের প্রতিক্রিয়া, পেট ব্যথা, পেট ফোলা, ডায়রিয়া বা কোষ্টকাঠিন পেট ফাঁপা, মাংসপেশীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, র্যাশ, ইরাইথেমা এবং রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের সাময়িক স্বল্পতা।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :

একই সময়ে সেবনকৃত ক্যালসিয়াম সম্পূরক এবং মুখে সেব্য কিছু ওষুধ এলেনড্রোনিক এসিড শোষণে বাঁধা দেয়। শিরাপথে প্রয়োগকৃত রেনিটিডিন এলেনড্রোনিক এসিডের বায়োএভেইলএবলিটি দ্বিগুণ করে দেয়। এলেনড্রোনিক এসিড সেবনের ফলে এসপিরিন ও অন্যান্য প্রদাহজনিত ওষুধের সম্পর্কিত পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগে প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়।

 

Ostel অস্টিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে:

এলেনড্রোনিক এসিড গর্ভাবস্থায় C ক্যাটাগরীভূক্ত । শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

সরবরাহ :

অস্টিল’ ১০ ট্যাবলেট : ৩ × ১০ টি । অস্টিল’ ৭০ ট্যাবলেট ৩ x ৪ টি।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment