আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ostel D অস্টিল ডি ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Ostel D অস্টিল ডি ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
অস্ট্রিল -ডি ১০/४০০: সোডিয়াম এলেনড্রোনেট বিপি যা এপেনড্রোনিক এসিড ১০ মি. গ্রা. এর সমতুল্য এবং ভিটামিন ি (কোপিক্যাল বিকেলে বিপি ৪০০ এবং অস্টিন -ডি ৭০/২৮০০: সাডিয়াম এপেনড্রোে বিপি যা এলেনড্রোনিক এসিড ৭০ মি.গ্রা. এর স এবং ভিটামিন ডিও (কোলিক্যালসিফেরল বিপি) ২৮০০ আইইউ ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
১. মেনোপোজ পরবর্তী মহিলার অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা।
২. পুরুষের অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসা।
অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসার অস্টিল ডি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে হাড় (বিশেষ করে কোমর ও মেরুদন্ডের হাড়) ভার সম্ভাবনা কমায়।
সেবনমাত্রা ও বিধি :
মেনোপোজ পরবর্তী মহিলার অস্টিওপরোসিসের চিকিৎসা অস্টিল’ -ডি 10/800 ট্যাবলেট দিনে একবার অথবা অস্টিল ডি 70 / 200 ট্যাবলেট সপ্তাহের একবার। পুরুষের অস্টিওপরোসিস চিকিৎসায় হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি অস্টিল ডি ১০/৪০০ ট্যাবলেট দিনে একবার অথবা অস্টিল ভি ৭০ / ২৮০০ ট্যাবলেট সপ্তাহে একবার।
পর্যাপ্ত শোষনের জন্য অস্টিল’-ডি সকালের নাস্তার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পানির সাহায্যে সেবন করতে হবে। ওষুধ সেবনের পর ৩০ মিনিট পর্যন্ত রোগীর শোয়া যাবে না। অস্টিল’-ডি ঘুমানোর সময় সেবন করা উচিত না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
অস্টিল ডি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত মৃদু হয় এবং চিকিৎসা বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে- ইসোফেগাসের প্রতিক্রিয়া, পেট ব্যাথা, পেট ফোলা, ডায়রিয়া বা কাটকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, মাংসপেশীর ব্যথা, র্যাশ, ইরাইথেমা এবং রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের সাময়িক স্বল্পতা।

সাবধানতা:
চিকিৎসা শুরু করার আগে হাইপোক্যালসেমিয়া এবং অন্যান্য খনিজের শোষণ সম্পর্কিত অসুবিধা অবশ্যই ঠিক করতে হবে। এলেনড্রোনেট সেবনের ফলে পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগ জ্বালাপোড়া করতে পারে।
যেসব রোগীর পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগে সমস্যা আছে যেমন-ডিসফ্যাজিয়া, ইসোফেগাসের অসুখ, পাকস্থলী ও ডুওডেনামের প্রদাহ অথবা আলসার তাদের ক্ষেত্রে এলেনড্রোনেট দেয়ার ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বণ করতে হবে। যদি ক্রমে ইসোফেগাসের অসুখের লক্ষণাধি প্রকাশিত হয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে এবং ডাকারের পরামর্শ নিতে হবে।
বয়স্ক রোগী এবং বৃক্কের মৃদু থেকে মাঝারি অকার্যকারিতা (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩৫-৬০ মিলি/মিনিট) আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে মাত্রা সংশোধন করার প্রয়োজন হয় না। তবে বৃক্কের তীব্র অকার্যকারিতার (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <৩৫ মিলি/ মিনিট) ক্ষেত্রে অস্টিল’-ডি দেয়া যাবে না। ইসোফেগাসের অস্বাভাবিকতা যা ইসোফেগাস।
প্রতিনির্দেশনা :
খালি হওয়াকে বিলম্ব করে যেমন-স্ট্রিকচার বা একালাসিয়া। কমপক্ষে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে বা সোজা হয়ে বসে থাকতে অপারগ। প্রতি ওষুধের যেকোন উপাদানের অতিসংবেদনশীলতা। হাইপোক্যালসেমিয়া ।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
একই সময়ে সেবনকৃত ক্যালসিয়াম সম্পূরক এবং মুখে সেব্য কিছু ওষুধ এলেনড্রোনেট শোষণে বাধা দেয়। শিরাপথে প্রয়োগকৃত রেনিটিডিন এলেনড্রোনেটের জৈবলভ্যতা দ্বিগুণ করে দেয়। এলেনড্রোনেটের সাথে সেবনের ফলে NSAID এবং এসপিরিন সম্পর্কিত পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগে প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়।
খনিজ তেল, অৱলিস্ট্যাট এবং বাইল এসিড সিকোয়েস্টারেন্ট (কোলেস্টাইরামিন, কোলেস্টিপল) ভিটামিন ডি এর শোষণে বাধা দান করতে পারে। এন্টিকনভালসেন্ট, সিমেটিডিন এবং থায়াজাইড ভিটামিন ডি এর অপচিতি বৃদ্ধি করে।
মাত্রাধিক্য:
এলেনড্রোনেট মাত্রাধিক সেবনের ফলে হাইপোক্যালসেমিয়া, হাইপোফসফাটেমিয়া, পরিপাকতন্ত্রের উপরিভাগ সম্পর্কিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন- পেটের গোলমাল, বুক জ্বালাপোড়া, ইসোফেজাইটিস, গ্যাস্ট্রাইটিস বা আলসার হতে পারে। ভিটামিন ডি মাত্রাধিক্যের উপসর্গগুলো হলো হাইপারক্যালসেমিয়া, হাইপারক্যালসিউরিয়া, এনোরেক্সিয়া, বমি বমি ভাব, পলিইউরিয়া, পলিডিপসিয়া, দূর্বলতা, অলসতা।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে :
এলেনড্রোনিক এসিড গর্ভাবতী স্তন্যদায়ী মহিলাদের উপর প্রয়োগ করা হয়নি এবং তাদের দেয়া উচিত নয়। শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সরবরাহ :
অস্টিল’ – ডি ১০/৪০০ ট্যাবলেট ৩ x ১০ টি।
অস্টিল” -ডি ৭০/২৮০০ ট্যাবলেট : ১ x ৮ টি।
আরও দেখুনঃ