আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ace Plus এইস প্লাস ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Ace Plus এইস প্লাস ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্যারাসিটামল ৫০০ মি.গ্রা. এবং ক্যাফেইন ৬৫ মি.গ্রা./ ট্যাবলেট। নির্দেশনা : জ্বর, মাথা ব্যথা, মাইগ্রেইন, মাংসপেশীর ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দাঁত ব্যথা এবং ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি:
১-২ টি ট্যাবলেট ৬ ঘন্টা পর পর। দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট। ১২ বছরের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
নিউট্রোপেনিয়া, গ্যাস্ট্রো ইন্টেসটাইনাল সমস্যা ইত্যাদি।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
এটা ক্লোরামফেনিকল এবং কুমারিনের রক্ত জমাট বিরোধী গুন বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল সেবনকারী অথবা যে সমস্ত রোগী খিঁচুনীর ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের মাধ্যমে যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরীর ঝুঁকি বাড়তে পারে।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
প্যারাসিটামল গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে নিরাপদ সত্ত্বেও ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। সরবরাহ : এইস প্লাস ট্যাবলেট ২০ x ১০ টি।
ওষুধ এর সংজ্ঞা:
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয়।এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ