আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Xcid এক্সিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Xcid এক্সিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
প্রতিটি চুষে খাওয়ার এ্যান্টাসিড ট্যাবলেটে আছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট বিপি ১০০০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা :
এটি হাইপার এসিডিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন লক্ষণ উপশম করে। তাছাড়া বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া, টক ঢেকুর এবং পাকস্থলীর অস্বস্তিতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
লক্ষণ দেখা দেবার পর তীব্রতা অনুসারে ২-৩টি ট্যাবলেট খেতে হবে। প্রয়োজন হলে প্রতি ঘন্টায় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
এক্সিড সুসহনীয়। তবে মাঝে মাঝে বমি বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে ওষুধের পরিমাণ বা মাত্রা কমিয়ে দিলে অবস্থার উন্নতি ঘটে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভবস্থায় এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম কার্বনেটকে সবচেয়ে নিরাপদ এ্যান্টাসিড হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ হিসাবে বলা হয় এটি হাইপার এসিডিটি চিকিৎসার সাথে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সরবরাহ নিশ্চিত করে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
লৌহ জাতীয় ওষুধ এবং টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক দিনের একই সময় খাওয়া উচিত নয়।
সরবরাহ :
এক্সিড ট্যাবলেট : প্রতিটি বাক্সে আছে ৫০ টি। চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ