আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Enerton এনারটন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Enerton এনারটন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদানঃ
প্রতি ৫ মি.লি. এনারটন সিরাপে আছে সিডা কর্ডিফলিয়া ১.৩৫ গ্রাম, উইথানিয়া সমনিফেরা ১.৩৫ গ্রাম, রিসিনাস কামিনিস ২৮.১৫ মি.গ্রা., ভেন্ডা রক্সবার্জ ১৪.০৮ মি.গ্রা., ইলেটরিয়া কার্ডামোমাম ১৪.০৮ মি.গ্রা., সাইজেজিয়াম অ্যারোমেটিকাম ১৪.০৮ মি.গ্রা., ভেটিভেরিয়া জিজানয়েড ১৪-০৮ মি.গ্রা. ট্রাইবিউলাস টেরেসট্রিস ১৪.০৮ মি.গ্রা., সহ অন্যান্য ভেষজ উপাদানের নির্যাস ।
ব্যবহার:
পুষ্টি ও শক্তি বর্ধক বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য উৎকৃষ্ট টনিক শারিরীক দুর্বলতা ও অবসন্নতায় কার্যকরী মাংসপেশীকে সবল করে জ্বর ও প্রসব পরবর্তী দুর্বলতায় এবং শ্বাস কষ্টের রোগীর জন্য উপকারী বয়স্ক ও খেলোয়াড়দের সাধারণ ব্যথায় উপকারী।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধিঃ
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ( ১২ বছরের উপরে): ২-৩ চা চামচ (১০-১৫ মি.লি.) দিনে ৩ বার অথবা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
এটি একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা নিরাপদ ও সুসহনীয়। নির্দেশিত মাত্রায় সেবন করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।
যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
এখনো পর্যন্ত কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় এনারটনও সিরাপ ব্যবহারের কোন টেরাটোজেনিক কার্যকারিতা যাচাই করা হয়নি। তাই গর্ভাবস্থায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
স্নায়ু উদ্দীপক ওষুধের সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সরবরাহ:
প্রতিটি পি ই টি বোতলে আছে ২০০ মি.লি. সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত এনারটন সিরাপ।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ