Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

Amistar এমিস্টার ওষুধের যাবতীয় তথ্য

Amistar এমিস্টার ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Amistar এমিস্টার ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Amistar এমিস্টার ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

এমিস্টারTM আইএম/আইভি ইঞ্জেকশন: প্রতিটি ২ মি.লি. এ্যাম্পুল-এ রয়েছে এমিক্যাসিন ১০০ মি.গ্রা. এমিক্যাসিন সালফেট ইউএসপি হিসাবে । এমিস্টারTM ৫০০ আইএম/আইভি ইঞ্জেকশন: প্রতিটি ২ মি.লি. এ্যাম্পুল-এ রয়েছে এমিক্যাসিন ৫০০ মি.গ্রা. এমিক্যাসিন সালফেট ইউএসপি হিসাবে ।

 

 

নির্দেশনা:

এমিক্যাসিনের প্রতি সংবেদনশীল গ্রাম- নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট তীব্র সংক্রমণের চিকিৎসায় এমিক্যাসিন নির্দেশিত যেমন সেপ্টিসেমিয়া (নবজাতকের সেপসিস সহ) শ্বসনতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রমণ, কেন্দ্ৰীয় স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ, (মেনিনজাইটিস্ সহ), ত্বক ও কোমল কলার সংক্রমণ,

উদরের অভ্যন্তরীন সংক্রমণ এবং আগুনে পোড়াজনিত বা পোস্ট-অপারেটিভ সংক্রমণের (রক্তনালীর শল্যচিকিৎসা পরবর্তী সংক্রমণসহ) চিকিৎসায়। জেন্টামাইসিন বা টোরামাইসিন রেজিসট্যান্ট গ্রাম- নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন প্রোটিয়াস রিটগেরি, প্রভিডেন্সিয়া স্টুয়ার্ট, সেরেসিয়া মারসিসেন্স এবং সিউডোমোনাস এরোজিনোসা সৃষ্ট সংক্রমণেও এমিক্যাসিন নির্দেশিত।

এছাড়াও এমিক্যাসিন স্ট্যাফাইলোকক্কি সংক্রমণেও কার্যকর দেখা গিয়েছে। ইহা স্ট্যাফাইলোকক্কাল রোগসমূহে অথবা গ্রাম-নেগটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে বিবেচিত।

মাত্রা ও ব্যবহারবিধি:

প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের জন্য: ১৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন হিসাবে ২ টি সমবিভক্ত মাত্রায় (৫০০ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার এর সমতুল্য)। শিশুদের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রার জন্য ১০০ মি.গ্রা./ ২ মি.লি. মাত্রাটি নির্দেশিত।

নবজাতক ও অপরিণত নবজাতকের জন্য: প্রথমে ১০ মি.গ্রা./কেজি/দিন হিসাবে লোডিং ডোজ দিয়ে পরবর্তিতে ১৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন হিসাবে ২ টি সমবিভক্ত মাত্রায়। বয়স্কদের জন্য: ক্ষতিগ্রস্ত রেচনক্রিয়াগত রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা সমন্বয় করা উচিত। প্রাণঘাতী সংক্রমণ এবং / অথবা সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ:

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মাত্রা প্রতি ৮ ঘণ্টা পরপর ৫০০ মি.গ্রা. করে বৃদ্ধি করা যেতে পারে তবে দিনে ১.৫ গ্রাম এর অতিরিক্ত নয় এবং ১০ দিনের বেশী নয় । পূর্ণমাত্রা সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ১৫ গ্রাম এর বেশী অতিক্রম করা যাবেনা। মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ (সিউডোমোনাল ব্যতীত অন্য সংক্রমণে) : ৭.৫ মি.গ্রা./কেজি/দিন হিসাবে ২ টি সমবিভক্ত মাত্রায় (২৫০ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার এর সমতুল্য) ।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ক্ষতিগ্রস্ত রেচনক্রিয়া: ক্ষতিগ্রস্ত রেচনক্রিয়াগত রোগীদের ক্ষেত্রে দৈনিক মাত্রা সমন্বয় করা উচিত এবং ২ টি মাত্রায় মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান বেশী হওয়া উচিত যাতে ওষুধের জমে যাওয়া এড়ানো যায়। প্রয়োগবিধি বেশীরভাগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে ইন্ট্রামাসকুলার পথে প্রয়োগই নির্দেশিত তবে প্রাণঘাতী সংক্রমণে বা যে সকল রোগী ইন্ট্রামাসকুলার পথে গ্রহণ করতে সক্ষম নয় সেক্ষেত্রে ইন্ট্রাভেনাস পথে দেয়া যেতে পারে ।

ইন্ট্রাপেরিটোনিয়াল ব্যবহার চেতনানাশকের কার্যকারিতা থেকে পুনরুদ্ধার হওয়ার পর এমিক্যাসিন ০.২৫% ইরিগেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার ১৬ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে এমিক্যাসিনের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

এমিক্যাসিন ব্যবহারের ফলে যে ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে- টিনিটাস, মাথা ঘোরা, বধির হওয়া, স্কিন র‍্যাশ, মাথা ব্যথা, প্যারাসথেসিয়া, বমিভাব এবং বমি।

প্রতিনির্দেশনা:

এমিক্যাসিন অথবা এ ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত ।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

এমিক্যাসিন অতি দ্রুত প্লাসেন্টা অতিক্রম করে ভ্রুণের রক্তসংবহনতন্ত্র ও এমনিওটিক ফ্লুইডে প্রবেশ করে ভ্রুণের শ্রবণ শক্তির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। স্তন্যদানকালে ব্যবহার সুপ্রতিষ্ঠিত নয় ।

 

 

সরবরাহ :

এমিস্টার TM ১০০ আইএম/আইভি ইঞ্জেকশন: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০ টি এ্যাম্পুল অ্যালু- পিভিসি রিস্টার প্যাক-এ । এমিস্টারTM ৫০০ আইএম/আইভি ইঞ্জেক্‌শন: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০ টি এ্যাম্পুল অ্যালু-পিভিসি ব্লিস্টার প্যাক-এ

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version