আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Asynta এসিন্টা ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Asynta এসিন্টা ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রতি ৫ মি.লি. সাসপেনশনে আছে সোডিয়াম এলজিনেট ইউএসপি ৫০০ মি.গ্রা. এবং পটাশিয়াম বাইকার্বনেট ইউএসপি ১০০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা :
এটি গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স জনিত সমস্যা, যেমন- এসিড রিগার্জিনেশন, হার্টবার্ন এবং বদহজমে নির্দেশিত। এটি খাবার পরবর্তী এসিডিটি, গর্ভকালীন অথবা যে সকল রোগীর রিফ্লাক্স ইসোফেজাইটিস আছে তাদের প্রতি নির্দেশিত ।
সেবন মাত্রা ও প্রয়োগবিধি:
খাবারের পরে এবং ঘুমানোর আগে দৈনিক ৪ বার প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ বছরের উপরে শিশুদের ক্ষেত্রে: ১-২ চা চামচ (৫-১০ মি.লি.) সাসপেনশন। ২- ১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে: ১/২-২ চা চামচ (২.৫-৫ মি.লি.) সাসপেনশন ।
প্রতিনির্দেশনা:
সোডিয়াম অ্যালজিনেট এবং পটাশিয়াম বাইকার্বোনেট এর উপর সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত ।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার:
অ্যাসিন্টা” সাসপেনশন গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
খুব কম সংখ্যক রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক মেনিফেস্টেশন যেমন- ইউটিকারিয়া, ব্রোঙ্কোস্পাজম, এনাফাইলেটিক অথবা এনাফাইলেকিয়েড প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে ।
মাত্রাধিক্যতা:
সিম্পটোমেটিক চিকিৎসা রোগীকে দিতে হবে। রোগীর তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
সরবরাহ :
প্রতি বোতলে আছে ২০০ মি.লি. সাসপেনশন ।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ