আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ansulin এ্যানসুলিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Ansulin এ্যানসুলিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
এ্যানসুলিন ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি. প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে। এ্যানসুলিনTM R ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি. প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে।
এ্যানসুলিন N ইঞ্জেকশন ৪০ আই হ৬/মি.লি TM প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে। TM এ্যানসুলিন N ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি. প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
TM এ্যানসুলিন ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি. প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে। TM এ্যানসুলিন ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/ মি.লি. প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি
১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে। TM এ্যানসুলিন ৫০/৫০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/ মি.লি. প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৫০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৫০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
নির্দেশনা:
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ব্যবহার:
১. এ্যানসুলিন খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত।
২. ব্যবহারের পূর্বে করণীয় সমভাবে মিশ্রনের জন্য ইনসুলিন ভায়ালটি পরিষ্কার হাতে আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন এবং এটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে কিনা লক্ষ্য করুন। নতুন বোতলের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ক্যাপ সরিয়ে রাবার স্টপার জীবাণুমুক্ত করে নিন।
প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের সমপরিমাণ বাতাস সিরিঞ্জে টেনে নিন এবং ভায়ালে টেনে নেয়া বাতাস প্রয়োগ করুন। সিরিঞ্জসহ ভায়ালটি উপর করে ধরুন এবং সিরিঞ্জে সঠিকমাত্রার ইনসুলিন টেনে নিন। সিরিঞ্জে বাতাস আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন এবং থাকলে তা বের করে নিন।
৩. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে । ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি. দূরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা উচিত।
৪. ইঞ্জেকশন প্রয়োগবিধি ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন । একহাত দিয়ে প্রয়োগের স্থান টেনে ধরুন এবং = সূচটি কোনকুনিভাবে প্রবেশ করিয়ে দিন। ইনসুলিন প্রয়োগ করুন এবং সূঁচটি বের করে প্রয়োগের স্থান না ঘষে আলতোভাবে চাপ দিয়ে ধরুন।
প্রয়োগমাত্রা:
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের ধরন, মাত্রা এবং প্রয়োগের সময় ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও খাদ্যতালিকা, কাজের ধরন এবং ব্যায়ামের তীব্রতার উপর ইনসুলিনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী * চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনসুলিনের দৈনিক গড়মাত্রা ০.৫ থেকে ১ আই ইউ/কেজি।
বয়ঃসন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ০.৭ হতে ১ আই ইউ/কেজি হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল বা অতিরিক্ত ওজনজনিত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস । রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে দৈনিক ০.৩ থেকে ০৬ আই ইউ/কেজি দেয়া উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোন সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন- চুলকানি, লাল ও ফুলে যাওয়া। এগুলো সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। ইনসুলিন ছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন- দূর্বল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ পদ্ধতি এবং জীবাণুনাশক দ্রবণ এর ফলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা:
হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা ইনসুলিন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
সতর্কতা:
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যবহার বন্ধ বা অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার পরিহার বা অপরিকল্পিত ব্যায়ামের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে:
ইনসুলিন পাসেন্টাল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না বলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এর ব্যবহারে কোন বাধা নেই । স্তন্যদানকালীন মায়েদের চিকিৎসায় ইনসুলিন শিশুদের কোন ক্ষতি করে না।
অন্য ওষুধের সাথে বিক্রিয়া:
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, এড্রিনাল কর্টিক্যাল হরমোন, থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোেজর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, স্যালিসাইলেট, সালফানিলামাইড এবং এন্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা কমানো উচিত।
সরবরাহ:
এ্যানসুলিন TM’ R ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি. প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সলিউশন। এ্যানসুলিন TM R ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি. : প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সলিউশন। TM এ্যানসুলিন N ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি. প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন। TM এ্যানসুলিন “N ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি. প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন ।
TM এ্যানসুলিন ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. TM সাসপেনশন। এ্যানসুলিন’ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি. প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে TM ১০ মি.লি. সাসপেনশন। এ্যানসুলিন ৫০/৫০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
আরও দেখুনঃ