আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় K One MM কে ওয়ান এমএম ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
K One MM কে ওয়ান এমএম ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
প্রতিটি অ্যাম্পুলে আছে ০.২ মি.লি সলিউশন যাতে ফাইটোমেনডিওন বিপি ২ মি.গ্রা. বিদ্যমান। এটি ওরাল, আইএম অথবা আইডি ব্যবহারের জন্য (বিশেষতঃ শিশুদের জন্য ব্যবহার্য)।
নির্দেশনা :
নবজাতকের ক্ষেত্রে প্রতিরোধক হিসাবে ও হেমোরেজিক অবস্থায় ব্যবহার্য। তীব্র হাইপোপ্রোথ্রম্বিনেমিয়ার (ক্লটিং ফ্যাক্টর II, VIL IXI x এর অভাব) কারনে সৃষ্ট হেমোরেজ বা তার ঝুঁকি, কোমারিন জাতীয় অ্যান্টি কোয়াগুলেস্টের
অতিমাত্রায় ব্যবহার, ফিনাইল বিউটাজোন এবং হাইপোভিটামিনোসিস-কে ( জন্ডিস, লিভার অ্যান্টিবায়োটিক, সালফোনামাইড, সালফোনামাইড ও ইন্টেসটাইনের অকার্যকারিতা, দীর্ঘমেয়াদী ও স্যালিসাইলেটের ব্যবহার)। ভিটামিন কে এর অভাবজনিত রক্তক্ষরণে ব্যবহার্য।
সেবনবিধি ও মাত্রা :
মৃদু হেমোরেজ বা হেমোরেজের প্রবণতা: নবজাতকের ক্ষেত্রে সাধারণত: জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বা সামান্য পরে ২ মি. গ্রা. মাত্রায় মুখে খাওয়াতে হয়। পরবর্তীতে ৪র্থ-৫ম, দিনে ২ মি.গ্রা. ও ২৮ তম- ৩০তম দিনে আরো ২ মি.গ্রা. মুখে খাওয়াতে হবে। মুখে খাওয়ানো না গেলে আইভি/আইএম পথে একই মাত্রায় দেয়া যায়। এক বছরের বেশি বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে ৫-১০ মি.গ্রা. পর্যন্ত মুখে খাওয়ানো যেতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ফাইটোমেনাডিওন ইঞ্জেকশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু অ্যানাফাইল্যাকটয়েড প্রতিক্রিয়া ও ভেনাস ইরিটেশন এর তথ্য পাওয়া গেছে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
ভিটামিন কে-১ প্লাসেন্টা বা মায়ের দুধে খুব অল্প পরিমানে প্রবেশ করে। রোগের ঝুঁকি ও ভিটামিন কে-১ এর প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
সরবরাহ :
কে-ওয়ান এমএম। ৩ x ১ টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ