আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Calboplex ক্যালবোপ্লেক্স ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Calboplex ক্যালবোপ্লেক্স ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ক্যালসিয়াম ৬০০ মি.গ্রা. + ভিটামিন ডি ২০০ আইইউ + ম্যাগনেসিয়াম ৪০ মি.গ্ৰা. + ম্যাঙ্গানিজ ১.৮ মি.গ্রা. + কপার ১ মি.গ্রা. + বোরণ ২৫০ মাইক্রোগ্রাম + জিংক ৭.৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
সুষম মাত্রার মিশ্রণ মজবুত অস্থি, দাঁত, হৃদপিন্ড, মাংসপেশী ও স্নায়ু গঠনের সহায়তায় নির্দেশিত। এছাড়াও অস্থির বৃদ্ধি এবং গঠনে, অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার। সকালে এবং সন্ধ্যায় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
অতিসংবেদনশীলতা হাইপারক্যালসেমিয়া, হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম, হাইপারক্যালসিউরিয়া,নেফ্রোলিথিয়াসিস, বৃক্কের অকার্যকারিতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
কোষ্ঠকাঠিন্য, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ডিগোক্সিন, এন্টাসিড, অন্যান্য ক্যালসিয়াম পরিপূরক, ক্যালসিট্রায়োল বা অন্যান্য ভিটামিন ডি পরিপূরক, টেট্রাসাইক্লিন, ডক্সিসাইক্লিন, এমাইনোসাইক্লিন, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইত্যদি।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সরবরাহ :
ক্যালবোপেক্স ট্যাবলেট : ৩০টি।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ