আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Clofenac ক্লোফেনাক ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Clofenac ক্লোফেনাক ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ২৫৪ মি.গ্রা. ট্যাবলেট। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ১০০ মি.গ্রা.এস.আর ট্যাবলেট ও টি. আর ক্যাপসুল। ডাইক্লোফেনাক ফ্রি এসিড ৪৬.৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৭৫ মি.গ্রা./৩ মি.লি. ইঞ্জেকশন। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৭৫ মি.গ্ৰা. এবং লিডোকেইন হাইড্রোক্লোরাইড ২০ মি.গ্রা./২ মি.লি. প্লাস ইঞ্জেকশন । ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ১০ মি.গ্রা./গ্রাম জেল এবং ইমালজেল। ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ১২.৫, ২৫,৫০ এবং ১০০ মি.গ্রা. মি.গ্রা সাপোজিটরি ।
নির্দেশনা :
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআথ্রাইটিস, কোমরে ব্যথা এবং অন্যান্য পেশী ও অস্থি সংশ্লিষ্ট ব্যথা যেমন টেন্ডিনাইটিস, টেনোসাইনোভাইটিস, বারসাইটিস, মোচড়, টান পড়া, অস্থিসন্ধি সরে যাওয়া, এনকাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস, বাতের তীব্র ব্যথা, দাঁতের ও অন্যান্য মৃদু ধরণের শৈল্য চিকিৎসার ব্যথা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে ক্লোফেনাক® নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
ক্লোফেনাক ২৫ মি.গ্ৰা. ও ৫০ মি.গ্রা. এন্টারিক কোটেড ট্যাবলেট: প্রাপ্ত বয়স্কদের মাত্রা: প্রতিদিন ৭৫-১৫০ মি.গ্রা., ২-৩ টি বিভক্ত মাত্রায় সেব্য। খাবারের পর গ্রহণ করাই শ্রেয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাত্রা কমিয়ে দেয়া উচিৎ। ক্লোফেনাক এসআর ট্যাবলেট ও ক্লোফেনাক ১০০ টি আর ক্যাপসুল : দিনে একটি ট্যাবলেট, প্রচুর পরিমাণ তরলের সাথে খাবারের সাথে গ্রহণ করা শ্রেয়।
প্রয়োজনবোধে সাধারণ ট্যাবলেটের সাহায্যে দৈনিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্লোফেনাক ডিটি: প্রাপ্তবয়স্কদের মাত্রা : দৈনিক ২-৩ ট্যাবলেট সেব্য এবং দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা.। ক্লোফেনাক ডিটি খাবারের পূর্বে ব্যবহার করাই শ্রেয়। অন্যান্য রোগের মৃদু প্রকোপে ২ টি ক্লোফেনাক ডিটি ট্যাবলেট সেবনই যথেষ্ট।
ক্লোফেনাক® ইঞ্জেকশন/ ক্লোফেনাক প্লাস ইঞ্জেকশন: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: দিনে একটি এ্যাম্পুল (মারাত্মক অবস্থায় দিনে ২টি) পেশিতে ব্যবহার্য। রেনাল কলিক দিনে একটি এ্যাম্পুল পেশীতে ব্যবহার্য। ৩০ মিনিট পরে আরও একটি এ্যাম্পুল ব্যবহার করা যেতে পারে ।
যে কোন পথে ডাইকোফেনাকের দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা.। মাত্রা ও সেবনবিধি (শিরা পথে প্রয়োগের ক্ষেত্রে) শিরা পথে প্রয়োগ করার পূর্বে ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড অথবা ৫% গুকোজের সাথে ১০০-৫০০ মি.লি. এর লঘু দ্রবণ তেরী করতে হবে। উভয় দ্রবণকে ৭.৫% এর ০.৫ মি.লি. বাফার দ্রবণ বানাতে হবে।

নির্দেশনা :
• মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় (অস্ত্রোপাচার পরবর্তী) ৭৫ মি.গ্রা. ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা ধরে শিরা পথে প্রয়োগ করতে হবে। ইহা ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর পূনরাবৃত্তি করা যাবে। তবে যেকোন ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. অতিক্রম করা যাবে না।
• অস্ত্রোপাচার পরবর্তী ব্যথা প্রতিরোধে: অস্ত্রোপাচার এর পরে ২৫ থেকে ৫০ মি.গ্রা. শিরাপথে প্রয়োগ করতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে। পরবর্তীতে প্রতি ঘন্টায় ৫ মি.গ্রা. করে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা. পযৃন্ত প্রয়োগ করা যেতে পারে ।
ক্লোফেনাক জেল: ক্লোফেনাকত জেল ত্বকে মৃদুভাবে ঘষে ব্যবহার করা হয়। আক্রান্ত জায়গার আয়তনানুসারে ২-৪ গ্রাম ক্লোফেনাক জেল দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহারের পর আক্রান্ত জায়গা ব্যতীত হাত ভালভাবে ধুয়ে ফেলা উচিৎ।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক মাত্রায় ব্যবহার্য। ক্লাফেনাক® ইমাল জেল এর মাত্রা: ক্লোফেনাক® সাপোজিটরি : প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: ২৫ মি.গ্রা. ৫০ মি.গ্রা. বা ১০০ মি.গ্রা. সাপোজিটরি, দিনে ৭৫-১৫০ মি.গ্রা. বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য।
শিশুদের ক্ষেত্রে: ১২.৫ মি.গ্রা. অথবা ২৫ মি.গ্ৰা. সাপোজিটরি দিনে প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১-৩ মি.গ্রা. করে বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য। দিনে ১৫০ মি.গ্রা. এর বেশী ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ব্যবহার করা যাবে না।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
ডাইক্লোফেনাক-এর প্রতি সংবেদনশীলতা, সক্রিয় অথবা সম্ভাব্য পেপটিক আলসার, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেয়া যাবে না। যে সমস্ত রোগীর এসপিরিন অথবা যে সকল ওষুধের প্রোষ্টাপ- নিডিন সিনথেটেস এর বাধাদান করার কার্যক্ষমতা থাকার জন্য হাঁপানী, আর্টিকারিয়া অথবা একিউট রাইনাইটিস এর তীব্রতা বাড়ে, সে সমস্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ক্লোফেনাক দেয়া যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে পরিপাকনালীর অস্বস্তি, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ, পেপটিক আলসার, ইত্যাদি। অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া লিথিয়াম, ডিগক্সিন, এন্টিকোয়াগুলেন্ট, এন্টিডায়াবেটিক, সাইক্লোস্পোরিন, মিথোট্রেক্সেট ইত্যাদি ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় সেবনযোগ্য নয়। তথাপি অন্য কোন উপায় না থাকলে কেবল মাত্র তখনই ডাইক্লোফেনাক সেব্য। ডাইক্লোফেনাক ৫০ মি.গ্রা. ৮ ঘন্টা অন্তর সেবন করলে ডাইক্লোফেনাক এর সক্রিয় উপাদান মাতৃদুগ্ধে প্রবেশ করে, কিন্তু প্রবেশ মাত্রা এতই সামান্য যে কোনরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না।
সরবরাহ :
ক্লোফেনাক® ২৫ ট্যাবলেট : ১০×১০ টি। ক্লোফেনাক ৫০ ট্যাবলেট : ২০ x ১০ টি। ক্লোফেনাক ডিটি : ৫ × ১০ টি। ক্লোফেনাক এস আর ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি। ক্লোফেনাক ১০০ টি আর ক্যাপসুল : ৫ x ১০ টি।
ক্লোফেনাক ইঞ্জেকশন : ৫ x ২ টি। ক্লোফেনাক® প্লাস ইঞ্জেকশন : ২×৫ টি। ক্লোফেনাক ১% জেল : ১০ গ্রাম টিউব। ক্লোফেনাক ইমাল জেল : ২০ গ্রাম টিউব। ক্লোফেনাক ১২.৫ সাপোজিটরি : ২ × ৫ টি। ক্লোফেনাক ২৫ সাপোজিটরি : ৩ × ৫ টি। ক্লোফেনাক® ৫০ সাপোজিটরি : ৪ x ৫ টি।
আরও দেখুনঃ