আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Zif Forte জিফ ফোর্ট ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Zif Forte জিফ ফোর্ট ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
মৌলিক আয়রণ (কর্বোনিল আয়রণ আইএনএন হিসাবে) ৫০ মি.গ্রা., ফলিক এসিড বিপি ০.৫০ মি.গ্রা., থায়ামিন মনোনাইট্রেট ইউএসপি ২ | মি.গ্রা. রিবোফাভিন ইউএসপি ২ মি.গ্রা., পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ১ মি.গ্রা., নিকোটিনামাইড ইউএসপি ১০ মি.গ্রা., ভিটামিন সি (এসকরবিক এসিড হিসাবে) ইউএসপি ৫০ মি.গ্রা. এবং জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি ৬১.৮০ মি.গ্রা./ ক্যাপসুল।
নির্দেশনা :
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালীন অবস্থায় আয়রণ, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি-কমপেক্স, ভিটামিন সি এবং জিংকের ঘাটতি পূরণে জিঙ্ক ফোর্ট ক্যাপসুল নির্দেশিত। জিফ” ফোর্ট ক্যাপসুল প্রাপ্ত বয়স্কদের ভিটামিন ও মিনারেল এর ঘাটতি জনিত সমস্যায়ও নির্দেশিত।
মাত্র ও ব্যবহার বিধি :
প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ১ (এক) টি ক্যাপসুল খাবারের আগে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যাদের এই জাতীয় ওষুধে সংবেদনশীলতা আছে অথ বা যারা আয়রণের মাত্রাতিরিক্ততায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
আয়রণের চিকিৎসায় গাঢ় রং যুক্ত মল স্বাভাবিক, এছাড়া বমি বমি ভাব এবং কখনও কখনও পরিপাকতন্ত্রীয় জ্বালাপোড়া যেমন-ক্ষুমন্দা, বমি, অস্বাচ্ছন্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ভাররিয়া দেখা দিতে পারে। এধরণের টাইমড্ রিলিজ ক্যাপসুল বিশেষভাবে তৈরী করা, যাতে করে পরিপাকতন্ত্রে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
টেট্রাসাইক্লিন, কুইনোলোন, লেভোডোপা, লেভোথাইরক্সিন, মিথাইলডোপা, পেনিসিলামিন, ফেনোবারবিটাল, ফিনাইটোইন এবং প্রাইমিডন ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
যদি সম্ভব হয় গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোন প্রকার ওষুধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সঠিকভাবে আয়রণের ঘাটতি নিশ্চিত হলেই কেবল মাত্র প্রথম তিন মাসে আয়রণ গ্রহণ করা যেতে পারে। গর্ভাবস্থার শেষ দিনগুলিতে আয়রণের ঘাটতি প্রতিরোধে এবং খাদ্যের অপর্যাপ্ততায় জিংক এবং ফলিক এসিডের ব্যবহার যুক্তিযুক্ত।
সরবরাহ :
জিফা ফোর্ট ক্যাপসুল : ৬ x ১০ টি।
আরও দেখুনঃ