আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ziliron জিলিরন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Ziliron জিলিরন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
আয়রণ (III) হাইড্রোক্সাইড পলিমলটোজ কমপেক্স ১৮৮ মি.গ্রা., ফলিক এসিড ০.৫ মি.গ্রা. এবং জিংক সালফেট মনোহাইড্রেড ৬১.৮০ মি.গ্রা./ ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংকের অভাবজনিত রোগের চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
দিনে ১টি ট্যাবলেট।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
সু-সহনীয়। মাঝে মাঝে পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তি যেমন বিরক্তিকর অনুভূতি, পেটের উপরিভাগে চাপবোধ, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
যদি সম্ভব হয় গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোন প্রকার ওষুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। সঠিক ভাবে আয়রণের ঘাটতি নিশ্চিত হলেই কেবলমাত্র প্রথম তিন মাসে আয়রণ গ্রহণ করা যেতে পারে ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
সরবরাহ :
জিলিরন ট্যাবলেট : ৬ x ১০ টি।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ