Xenole জেনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Xenole জেনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Xenole জেনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

জেনল” ৩৭৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে ডিলেইড রিলিজ ন্যাপ্রোক্সেন ইউএসপি ৩৭৫ মি.গ্রা. এবং ইমেডিয়েট রিলিজ ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেশিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি যা ইসোমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।

জেনল” ৫০০ ট্যাবলেট: প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে ডিলেইড রিলিজ ন্যাপ্রোক্সেন ইউএসপি ৫০০ মি.গ্রা. এবং ইমেডিয়েট রিলিজ ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেশিয়াম ট্রাইহাইড্রেট ইউএসপি যা ইসোমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।

 

Xenole জেনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

নির্দেশনা:

অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস এর লক্ষণ ও উপসর্গ নিরসনে, ডিজমেনোরিয়া এবং যে সকল রোগীর এন,এস,এ,আই,ডি, সেবন সংশ্লিষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার হবার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার কমানোর ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত

মাত্রা ও সেবনবিধি:

অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস এবং ডিজমেনোরিয়া: জেনল” ৩৭৫ বা জেনল ৫০০, ১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার। ট্যাবলেটটি ভাঙ্গা, চোষা, চিবানো অথবা দ্রবীভূত করা যাবে না। ট্যাবলেটটি খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সেবন করতে হবে।

বয়স্ক রোগীদের জন্য: পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে, যদিও সম্পূর্ণ প্লাজমা মাত্রা অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু মুক্ত অংশের ন্যাপ্রোক্সেন বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায়। যখন উচ্চমাত্রার সেবন প্রয়োজন তখন সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচতি এবং বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সেবনমাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। যেহেতু বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেহেতু সম্ভাব্য নিম্নতম মাত্রা ব্যবহার করা উচিত।

কিডনি সমস্যার রোগীদের ক্ষেত্রে: ন্যাপ্রোক্সেন সম্বলিত ওষুধগুলো মধ্যবর্তী থেকে উচ্চ পর্যায়ের কিডনি সমস্যার রোগীদের ক্ষেত্রে (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <৩০ মি.লি./মিনিট) নির্দেশিত নয়। হেপাটিক সমস্যার রোগীর ক্ষেত্রে: অল্প হতে মধ্যবর্তী হেপাটিক সমস্যার রোগীদের ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং জেনল” এর ভেতর ন্যাপ্রোক্সেন এর পরিমাণ হিসেব করে মাত্রা পূনঃনির্ধারণ করতে হবে।

তীব্র হেপাটিক সমস্যায় রোগীদের ক্ষেত্রে জেনল” নির্দেশিত নয় কারণ এ সকল রোগীর ক্ষেত্রে ইসোমিপ্রাজলের মাত্রা দৈনিক ২০ মি.গ্রা. এর বেশি প্রয়োগ করা যাবে না । শিশুদের ক্ষেত্রে: ১৮ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

 

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

গর্ভাবস্থায়: প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সি। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এর ব্যবহার বর্জন করা উচিত কারণ এটি ডাক্টাস আর্টেরিওসাসের অপরিণত বন্ধের কারণ হতে পারে। স্তন্যদানকালে ন্যাপ্রোক্সেন থাকার কারণে স্তন্যদানকালে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

সাধারণত জেনল” সুসহনীয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা হল, ইরোসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস, ডিসপেপসিয়া, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাতলা পায়খানা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেটের উপরের অংশে ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।

প্রতিনির্দেশনা:

জেনল” এর যে কোন উপাদান অথবা প্রতিস্থাপিত বেনজিমিডাজল এর সাথে প্রতিনির্দেশিত হলে। অ্যাজমা, চুলকানি থাকলে অথবা অ্যাসপিরিন বা অন্যান্য এন.এস.এ.আই.ডি এর সাথে, পূর্বে চুলকানি জাতীয় ক্রিয়া হয়ে থাকলে। করোনারী আর্টারী বাইপাস গ্রাফট সার্জারী চলাকালীন অবস্থায়। গর্ভাবস্থার শেষের নিকে।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:

এন, এস,এ,আই,ডি, এর সাথে ব্যবহারের ফলে এ.সি.ই ইনহিবিটরের এন্টিহাইপারটেনসিভ ইফেক্ট, ডাই ইউরেটিক এবং বিটা-ব্লকারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। ওয়ারফেরিনের সাথে ব্যবহার করলে জেনল” রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।

ইসোমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক এসিডের উৎপাদন কমিয়ে দেয় যার ফলে যে সকল ওষুধের বায়োঅ্যাভেইলিবিলিটি নির্ধারণের জন্য গ্যাস্ট্রিক pH একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাদের শোষণ ব্যহত হতে পারে (যেমন- কিটোকোনাজল, আয়রণ সল্ট, ডিগক্সিন)।

 

Xenole জেনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

সরবরাহ:

জেনল” ৩৭৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালু রিস্টার প্যাকে।

জেনল” ৫০০ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট অ্যালু-অ্যালু ব্লিস্টার প্যাকে।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment