আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Genacyn Injection জেনাসিন ইঞ্জেকশন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Genacyn Injection জেনাসিন ইঞ্জেকশন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
জেন্টামাইসিন। ৮০ মি.গ্রা./২ মি.লি. ইঞ্জেকশন এবং ২০ মি.গ্রা./২ মি.লি. ইঞ্জেকশন ।
নির্দেশনা :
সেপটিসিমিয়া, নিওন্যাটাল সেপসিস,মস্তিস্কের আবরন-ঝিল্লির প্রদাহ এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য সংক্রমণ, পিত্তনালীর সংক্রমণ, তীব্র পায়েলোনেফ্রাইটিস অথবা প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ, স্টেপ ভাইরিড্যানস অথবা ফিকালিস জনিত এনডোকার্ডিয়ামের প্রদাহ ইত্যাদি চিকিৎসায় যদি সংক্রমণ সমুহ জেন্টামাইসিন সংবেদনশীল জীবাণুঘটিত হয় ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
জেন্টামাইসিন ইঞ্জেকশন সাধারণত মাংসপেশীতে দেওয়া হয় । কিন্তু প্রয়োজনবোধে শিরা পথে প্রয়োগ করা যেতে পারে। যে সমস্ত রোগীর বৃক্ক স্বাভাবিক : দৈনিক ২-৫ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে প্রতি ৮ ঘণ্টা অন্তর বিভক্ত মাত্রায় ।

যে সমস্ত রোগীর বৃক্কের কাজে অস্বাভাবিকতা আছে সেেেত্র উক্ত মাত্রা ১২ ঘণ্টা পর পর দিতে হবে যখন ক্রিয়াটিনিন নির্গমণের হার প্রতি মিনিটে ৫-১০ মি.লি. এর জন্য ৪৮ ঘণ্টা পর পর এবং প্রতি মিনিটে ৫ মি.লি. এর কম হলে ডায়ালাইসিসের ৩-৪ দিন পর পর প্রয়োগ করা যেতে পারে অথবা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে। শিশু (২ সপ্তাহ পর্যন্ত) : প্রতি ১২ ঘণ্টায় ৩ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে। ২ সপ্তাহ-১২ বৎসর প্রতি ৮ ঘণ্টায় ২ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
জেন্টামাইসিন এর প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি অনুপযোগী। এটি গর্ভাবস্থায় এবং মায়াসথেনিয়া গ্র্যাভিস এর ক্ষেত্রে অনুপযোগী ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
অন্তঃকর্ণের মধ্যপ্রদেশের ক্ষতি, বৃক্কের পরিবর্তনীয় ক্ষতি, শ্রবণেন্দ্রীয় সংক্রান্ত কর্ণের অসুবিধা হতে পারে। অন্যান্য লক্ষণগুলো হলো মাথা ঝিম ঝিম করা, অবসাদ, কানে ভোঁভোঁ শব্দ করা, কানে হট্টগোলের শব্দ হওয়া এবং কদাচিৎ শ্রবণ শক্তি লোপ পেতে পারে।
সরবরাহ :
জেনাসিন ৮০ ইঞ্জেকশন : ২ x ৫ টি। জেনাসিনগু ২০ ইঞ্জেকশন : ২× ৫ টি।
আরও দেখুনঃ