আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Tosirin টসিরিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Tosirin টসিরিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
(পায়োগিটাজোন ৩০ মি.গ্রা. + গাইমিপিরিড ২ মি.গ্রা.)/ট্যাবলেট।
(পায়োগিটাজোন ৩০ মি.গ্রা. + গাইমিপিরিড ৪মি.গ্রা.)/ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
৩০ মি.গ্রা./২ মি.গ্রা. অথবা ৩০ মি.গ্রা./৪ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দিনে একবার।
প্রতিনির্দেশনা :
পায়োগিটাজোন, গাইমিপিরিড অথ বা এদের সংযুক্ত যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদশীলতা, ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস-কোমা অথবা কোমা ব্যতীত।
গর্ভবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি সি। অন্যদাকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
পায়োগিটাজোন – শ্বাসতন্ত্রের উর্ধ্বভাগের সংক্রমণ, আঘাত, মাথা ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা, দাঁতের অস্বাভাবিকতা, ফ্যারিনজাইটিস, ইডিমা ইত্যাদি। গাইমিপিরিড- হাইপোগ্লাইসেমিয়া, মাথা ঝিম্ ঝিম্ ভাব, দৌর্বল্য, মাথা ব্যথা, বমি ভাব, ত্বকের এলার্জিক প্রতিক্রিয়া।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
গাইমিপিরিড- থায়াজাইডস্ ও অন্যান্য মূত্র বর্ধক, কর্টিকোস্টেরয়েড, ফেনেথায়াজিনস্, থাইরয়েড প্রোডাক্টস, ইস্ট্রোজেন, মুখে খাওয়ার জন্মনিরোধক বড়ি, ফেনাইটয়েন, নিকোটিনিক এসিড, সিমপ্যাথোমাইমেটিকস্, আইসোনিয়াজিড, মাইকোনাজল, ডাইক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রক্সেন এবং সেফেনামিক এসিড। পায়োগিটাজোন- মুখে খাওয়ার জন্ম নিরোধক বড়ি।
সরবরাহ :
টসিরিন” ৩০/২ ট্যাবলেট : ১৫ টি। টসিরিন” ৩০/৪ ট্যাবলেট ১৫ টি।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ