আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Trispray ট্রাইস্প্রে ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Trispray ট্রাইস্প্রে ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ট্রাইএমসিনোলোন এসিটোনাইড ৫৫ মাইক্রোগ্রাম/স্প্রে।
নির্দেশনাঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৬ বছর পর্যন্ত শিশুদের বছরব্যাপী এবং মৌসুমী এলার্জি জনিত নাসাপ্রদাহের প্রতিষেধক ও চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত
মাত্রা ও ব্যবহারবিধিঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক: প্রতি নাসারন্দ্রে দুটি করে স্প্রে দিনে ১ বার গ্রহণযোগ্য। রোগের লক্ষণ নিয়ন্ত্রিত হলে দিনে ১ বার প্রতি নাসারন্ধ্রে ১টি করে স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশু (৬-১২ বছর): প্রতি নাসারন্ধ্রে ১টি করে স্প্রে দিনে ১ বার। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি নাসারন্ধ্রে দুটি করে স্প্রে দিনে ১ বার গ্রহণযোগ্য । শিশু (২-৫ বছর): প্রতি নাসারন্ধ্রে ১টি করে স্প্রে দিনে ট্রাইস্প্রে” ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রযোজ্য ১ বার। নয়।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যদি এড্রেনাল ফাংশন বাধাগ্রস্থ হবার মত কোন কারণ থাকে, সে ক্ষেত্রে সিস্টেমিক স্টেরয়েড থেকে ট্রাইএমসিনোলোনে পরিবর্তন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
নাকে ও গলার কিল্লীতে প্রদাহ, রাইনাইটিস, মাথা ব্যথা, ফেরিংজাইটিস, নাক নিয়ে রক্ত ঝরা, নাকে ইরিটেশন, শুষ্ক মুখ ও গলা, নেসো সাইনাস কনজেশন এবং হাঁচি এবং নাকের সেপ্টাম ফুটো হয়ে যেতে পারে ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এরকম কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে মায়ের উপর এবং শিশুর উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করতে হবে।
সরবরাহ :
ট্রাইস্প্রে” : ১২০ টি স্প্রে।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ