Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

Pentadol পেন্টাডল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

Pentadol পেন্টাডল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Pentadol পেন্টাডল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Pentadol পেন্টাডল ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

পেন্টাডল ৫০ ট্যাবলেট: প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে ট্যাপেন্টাডল ৫০ মি.গ্রা. ট্যাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড আইএনএন হিসেবে । পেন্টাডল ৭৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে ট্যাপেন্টাডল ৭৫ মি.গ্রা. ট্যাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড আইএনএন হিসেবে ।

 

 

নির্দেশনা:

পেন্টাডল ট্যাবলেট মাঝারী থেকে তীব্র ব্যাথায় ১৮ বছর এবং এর বেশি বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত।

মাত্রা ও সেবনবিধি:

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে কার্যকর অন্যান্য ব্যথানাশক ওষুধের ন্যায় এক্ষেত্রেও ওষুধের মাত্রা ব্যথার তীব্রতা, পূর্বে একই ধরনের সেবনকৃত ওষুধের প্রভাব এবং রোগীর পরিচর্যার ধরন অনুসারে পৃথক করতে হবে। ৫০ মি.গ্রা., ৭৫ মি.গ্রা. অথবা ১০০ মি.গ্রা. মাত্রায় প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর ব্যথার তীব্রতার উপর নির্ভর করে সেবন করতে হবে। সেবনের ১ম দিনে ১ম ডোজের ১ ঘন্টা পরই ২য় ডোজ দেয়া যেতে পারে, যদি না ১ম ডোজে ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়।

যথাযথ ব্যথানাশক অবস্থা বজায় রাখতে রোগীর গ্রহণ ক্ষমতা এবং অবস্থা অনুসারে প্রতি ৪-৬ ঘন্টা অন্তর ৫০ মি.গ্রা., ৭৫ মি.গ্রা. অথবা ১০০ মি.গ্রা. এর মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসার ১ম দিন, দৈনিক ৭০০ মি.গ্রা. এর বেশি মাত্রা এবং পরবর্তীতে দৈনিক ৬০০ মি.গ্রা. এর বেশি মাত্রার ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত গবেষণা এখনো পর্যন্ত করা হয়নি এবং সে মাত্রায় সেবন না করার পরামর্শ রয়েছে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রতিনির্দেশনা:

যে সকল রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। এছাড়াও যে সকল রোগীর শ্বসনতন্ত্রজনিত তীব্র বা প্রচন্ড অ্যাজমা রয়েছে অথবা ত্রুটিপূর্ণ নিরীক্ষণের কারণে রক্তে কার্বন- ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি অথবা পূনঃশক্তিসঞ্চারক যন্ত্রাদির অপর্যাপ্ততা থাকলে সেক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। যে সকল রোগীর পক্ষাঘাতের কারণে পরিপাকতন্ত্রের পরিচালন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

ট্যাপেন্টাডল সেবনে নিম্নলিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ দেখা নিতে পারে- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, চোখের সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, ইডিমা, হাইপারসেনসিটিভিটি, উইথড্রয়াল সিনড্রম, হাইপোথেসিয়া, প্যারাসথেসিয়া, অমনোযোগিতা, সিডেশন, ডাইসারপ্রিয়া, স্মৃতিতে ভ্রম, সমন্বয়হীনতা, অসংলগ্নতা, শ্বাসক্রিয়ার প্রশমন, আর্টিকেরিয়া ও নিম্ন রক্তচাপ ইত্যাদি ।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। গর্ভবর্তী মহিলাদের উপর এখনও কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত স্টাডি পাওয়া যায়নি। কেবল মাত্র ভ্রুনের ক্ষতির ঝুঁকির তুলনায় মায়ের উপকার বিবেচিত হলে গর্ভাবস্থায় এ ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। স্তন্যদানকারী মায়েরা যারা ট্যাপেন্টাডল সেবন করছেন তাদের বাচ্চাদের সব সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে যেন রেসপেরেটরি ডিপ্রেশন না হয়।

 

 

সরবরাহ:

পেন্টাড ৫০ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ২০টি ট্যাবলেট রিস্টার প্যাকে।

পেন্টাডল ৭৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০টি ট্যাবলেট রিস্টার প্যাকে।

পেন্টাড ১০০ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০টি ট্যাবলেট রিস্টার প্যাকে।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version