আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Fusid Plus ফুসিড প্লাস ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Fusid Plus ফুসিড প্লাস ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
স্পাইরোনোলেকটোন বি.পি. ৫০ মি.গ্রা. এবং ফিউরোসেমাইড বি.পি. ২০ মি.গ্রা./ ট্যাবলেট, স্পাইরোনোলেকটোন ৫০ মি.গ্রা. এবং ফিউরোসেমাইড ৪০ মি.গ্রা./ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
এসেনসিয়াল উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কনজেটিভ হার্ট ফেইলিওর, যকৃতের সিরোসিস এবং পেটে পানি জমে যাওয়া (এসাইটিস), শরীরে পানি জমে ফুলে যাওয়া (ইডিমা), হাইপার এলডোস্টেরনিজম ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
ফুসিড প্লাস : ১-৪ টি ট্যাবলেট প্রতিদিন; ফুসিড ৪০ প্লাস ১-২ টি ট্যাবলেট প্রতিদিন।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
এনিউরিয়া, দ্রুত অবনতিশীল কিডনী অকেজো রোগীর ক্ষেত্রে, হাইপারক্যালেমিয়া, এডিসন্স ডিজিজ এবং স্পাইরোনোলেকটোন ও ফিউরোসেমাইডের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগী, ডায়াবেটিস, নিম্ন রক্তচাপ, হাইপোভোলেমিয়া ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি থাকলে ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
মাথা ব্যথা এবং ঝিম্ ঝিম্ করতে পারে। ডায়রিয়া, এটাক্সিয়া, মানসিক দ্বন্দ্ব এবং ত্বকে ফুসকুঁড়ি হতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এসিই ইনহিবিটর, পটাশিয়াম লবণ, গ্লাইকোসাইড, গ্লাইকোসাইড, ডিগক্সিন, করটিকোস্টেরয়েড, ইনডোমেথাসিন, এনএসএআইডি, অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড, সুক্রালফেট।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
অতীব প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সরবরাহ :
ফুসিড প্লাস ট্যাবলেট : ২ x ২০ টি। ফুসিড ৪০ প্লাস ট্যাবলেট : ২ x ২০টি।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ