আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Flacol ফ্লাকোল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Flacol ফ্লাকোল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
সিমেথিকন ৬৭ মি.গ্রা./মি.লি.।
নির্দেশনা :
পেট ফাঁপা, অস্ত্রের ফোলাভাব, পেট ভার, অতিরিক্ত গ্যাস এবং এর ফলে সৃষ্ট ব্যথা এবং বৃহদান্ত্রের জন্য প্রস্তুত মিশ্রণ হিসাবে নির্দেশিত
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
শিশু: ২০-৪০ মি.গ্রা. (০.৩ মি.লি. থেকে ০.৬ মি.লি.) দিনে ৪ বার। পূর্ণবয়স্ক : ৪০-১২৫ মি.গ্রা. (০.৬ – ১.৯ মি.লি.) দিনে ৪ বার ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
দৈনিক ১২ ডোজের অধিক দেওয়া যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নেই ।
সরবরাহ :
ফ্লাকোল পেডিয়াট্রিক ড্রপস্ । প্রতিটি বোতলে আছে ১৫ মি.লি. ড্রপস্ প্লাস্টিক ড্রপার সহ।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ