আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Burna বার্ণা ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Burna বার্ণা ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রতি গ্রাম ক্রীমে আছে সিলভার সালফাডায়াজিন ইউএসপি ১০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা:
১। পোড়ার ক্ষতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রতিরোধক হিসেবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়।
২। পোড়ার ক্ষত ব্যতীত অন্য নির্দিষ্ট ধরনের ক্ষতে যেখানে সংক্রমণ হতে পারে সেক্ষেত্রে জীবাণুরোধী হিসেবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি:
অগ্নিদগ্ধ ক্ষতটি ভালভাবে পরিষ্কার করে দিনে এক থেকে দুবার প্রায় ১/১৬ ইঞ্চি বা ১.৫ মি.মি. পুরুত্বের প্রলেপ দিতে হবে। ত্বকটিতে সব সময় বার্ণা লাগিয়ে রাখতে হবে। যদি কোন কারনে ক্ষত স্থান হতে ক্রীম সরে যায়, তবে সেখানে পুনরায় বার্ণা প্রয়োগ করতে হবে। রোগী যদি ড্রেসিং ব্যবহার করতে চায় তবে সেক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা যাবে। ক্ষতের সন্তোষজনক ক্ষয়পূরণ বা গ্রাফটিং করা যাবে এমন অবস্থায় না আসা পর্যন্ত বার্ণা প্রয়োগ করতে হবে।
সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
যারা সিলভার সালফাডায়াজিন বা বার্ণায় ব্যবহৃত কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদণশীল তাদের ক্ষেত্রে বার্ণা নির্দেশিত নয়। গর্ভবতী মা (যারা বিশেষ করে সন্তান প্রসবের সময়ে পৌঁছেছে), অকালিক ভূমিষ্ট শিশু, সদ্য ভূমিষ্ট শিশু যাদের বয়স ২ মাসের নীচে তাদের ক্ষেত্রে বার্ণা নির্দেশিত নয় ।
১। সাধারন – যকৃৎ ও বৃক্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হলে ওষুধটির নিষ্কাষন কমে যায়, ফলে দেহে এর সঞ্চয়ন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসায় সুফল বিবেচনা করে ওষুধ বন্ধ বা চালিয়ে যেতে হবে। ত্বকীয় আমিষ বিশেষক এনজাইমের সাথে ব্যবহার করলে, বার্ণা এনজাইমের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।
২। ল্যাবরেটরী পরীক্ষা – শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেলে সেক্ষেত্রে বার্ণা ব্যবহার করলে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সিরাম সালফা মাত্রা থেরাপিউটিক লেভেল ৪ মি.গ্রা.% হতে ১২ মি.গ্রা. % পৌঁছে। এ সময় রোগীর সিরাম সালফা মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। তাছাড়া রেনাল কার্যক্রম সতর্কভাবে পর্যবেক্ষন এবং মূত্রে সালফা ক্রিষ্টাল আছে কিনা দেখতে হবে।
পার্শ্ব প্রতিক্রয়া:
কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ক্ষনস্থায়ী লিউকোপেনিয়ার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্বকের নেক্রোসিস, ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম, ত্বকের অবর্ননীয়তা, জ্বলার অনুভূতি, র্যাশ্ এবং আন্তঃকোষীয় নেফ্রাইটিস দেখা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
সিলভার সালফাডায়াজিনের সাথে এনজাইম্যাটিক ডেব্রিডিং এজেন্ট, ওরাল হাইপোগ্লাইসেমিক ওষুধ, ফেনিটোইন এবং সিমিটিডিনের পারষ্পরিক ক্রিয়া পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
সিলভার সালফাডায়াজিন-এর প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী হচ্ছে বি। গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে প্রসব দানের সময়কালে কেবল মাত্র বিশেষ বিবেচনায় ব্যবহার করতে হবে। সিলভার সালফাডায়াজিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায় নাই। তবুও যেহেতু সালফোনামাইড সমূহ মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় সেহেতু স্তন্যদানকালীন সময়ে ওষুধটি বিশেষ প্রয়োজন বিবেচনায় ব্যবহার করতে হবে।
সরবরাহ:
বার্ণা: ২৫ গ্রাম ।
আরও দেখুনঃ