আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Bactrocin ব্যাক্ট্রোসিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Bactrocin ব্যাক্ট্রোসিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
প্রতি গ্রাম অয়েন্টমেন্টে আছে মিউপিরোসিন ২০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা :
ব্যাকট্রোসিন অয়েন্টমেন্ট ইমপেটিগোর ত্বকীয় চিকিৎসায় নির্দেশিত ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
আক্রান্ত স্থানে দিনে ৩ বার করে ১০ দিন ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
মিউপিরোসিন অথবা এই প্রিপারেশনের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে এমন ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
স্থানীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ নিম্নরূপঃ জ্বালা-পোড়া, স্টিংগিং অথবা ব্যথা, চুলকানি, বমি বমি ভাব, ইরাইথেমা, শুষ্ক ত্বক, টেন্ডারনেস, সোয়েলিং, কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এবং এক্সডেট-এর বৃদ্ধি ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
অন্যান্য ওষুধের সাথে মিউপিরোসিন-এর ব্যবহারের ফলাফল পরীক্ষা করা হয়নি।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী ‘বি’। স্তন্যদানরত মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
সরবরাহ :
ব্যাকট্রোসিন® অয়েন্টমেন্ট : ১০ গ্রাম ।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ