আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Melcam মেলকেম ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Melcam মেলকেম ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
মেলোক্সিকাম ১৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
অষ্টিও-আরথ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস এবং এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
৭.৫-১৫ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
মেলোক্সিকামের প্রতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। এসপিরিন কিংবা অন্য কোন ননস্টেরয়ডাল প্রদাহনাশক ওষুধ ব্যবহার করার ফলে যে সব রোগীর অ্যাজমা, নাকের পলিপ, এনজিও-নিউরোটিক ইডিমা কিংবা আর্টিকারিয়া দেখা গেছে সে সব রোগীর মেলোক্সিকাম না খাওয়াই উত্তম।
পেপটিক আলসার, যকৃ তের তীব্র অকার্যকারিতা, কিডনীর তীব্র অকার্যকারিতা, পরিপাকতন্ত্রের রক্তরণ কিংবা মস্তিষ্কের রক্তরণ বিদ্যমান থাকলে মেলোক্সিকাম ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
বমি, বমি বমি ভাব, পেটের ব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। আলসার কিংবা পরিপাকতন্ত্রে কদাচিৎ রক্তরণ দেখা দিতে পারে। কিছু রোগী যারা এসপিরিন ও অন্যান্য ননস্টেরয়েডাল প্রদাহনাশক ওষুধের প্রতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে অ্যাজমা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসার সময় হাতে কিংবা পায়ে পানি জমে যেতে পারে। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, ঘুম ঘুম ভাব, চুলকানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ননস্টেরয়ডাল প্রদাহনাশক ওষুধ, এ্যান্টি-কোয়াগুল্যান্ট, হেপারিন টিকোপিডিন, লিথিয়াম, মিথোট্রেক্সেট এবং ইন্ট্রাইউটেরাইন জন্মনিরোধক ডিভাইস।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় ব্যবহার না করার জন্য উপদেশ দেওয়া হয়। স্তন্যদানরত মায়েদের না দেওয়াই উত্তম।
সরবরাহ :
মেলকেম” ১৫ ট্যাবলেট। ৫x১০টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ