আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Melixol মেলিক্সল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Melixol মেলিক্সল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ফ্লুপেন্টিক্সল ০.৫ মি.গ্রা. এবং মেলিট্রাসিন ১০ মি.গ্রা./ ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
উদ্বেগ এবং বিষণ্নতায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
সাধারণতঃ ২ টি ট্যাবলেট প্রতিদিন, সকালে এবং মধ্যাহ্নে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
অর্গানিক সেরিব্রাল লিশন, খিঁচুনী, ইউরিনারি রিটেনশন, মায়াছেনিয়া, যকৃতের অকার্যকারিতা এবং কর্মক্ষমতায় রক্তসংবহন অসুখে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ গ্রহণে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিতে পারে, যতক্ষণ না বিষন্নতার উপসর্গের বেশ উন্নতি না হয়।
চিকিৎসার সময় যে সব রোগীর আত্মহত্যার প্রবণতা আছে তাদের নাগালের মধ্যে বেশী পরিমাণ ওষুধ রাখা উচিত নয়।অন্য নার্ভ সিডেটিভের মত মারাত্মক নার্ভ সিডেটিভ সিনড্রোম সৃষ্টি করতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে এক্সট্রাপাইরামিডাল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
অতি সংবেদনশীলতায় ব্যবহার করা যাবে না। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ডিপ্রেসনে (যেমন এ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায়, বারবিচুরেট এবং আফিমের বিষক্রিয়ায়) সংজ্ঞাহীন অবস্থায়, ফিওক্রোমোসাইটোমা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরমুহুর্তে, কার্ডিয়াক ব্লকে অথবা করোনারি ইনসাফিসিয়েন্সীতে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে মনো এমাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
নির্দেশিত মাত্রায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব কমই দেখা যায় । মাঝে মাঝে ক্ষনিকের জন্য অস্থিরতা এবং অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় এবং মাতৃদুগ্ধদানকালে এ ওষুধ গ্রহণ না করাই ভাল ।
সরবরাহ :
মেলিক্সল” ট্যাবলেট : ৫ x ১০ টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ