আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Servin সারভিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Servin সারভিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ফেরাস সালফেট ১৫০ মি.গ্রা., ফলিক এসিড ০.৫ মি.গ্রা., থায়ামিন মনোনাইট্রেট ২ মি.গ্রা., রিবোফ্লাভিন ২ মি.গ্রা., নিকোটিনামাইড ১০ মি.গ্রা., পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড ১ মি.গ্রা. এবং এসকরবিক এসিড ৫০ মি.গ্রা./ ক্যাপসুল।
নির্দেশনা :
আয়রণ, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি- কমপেক্স এবং ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরণে অথ বা অভাবজনিত সমস্যার চিকিৎসায়, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে নির্দেশিত ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
দৈনিক ১টি ক্যাপসুল।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
জ্ঞাত অতিসংবেদনশীলতায় ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত। হিমোক্রোম্যাটোসিস, হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া অথ বা রেড সেল অ্যাপাসিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
সাধারণত সুসহনীয়। তবে কিছু অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
তেমন কোন প্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায় নাই।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
অনুমোদিত।
সরবরাহ :
সারভিন ১০×১০ টি।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ