আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Amocid এমোসিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Amocid এমোসিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
হলারেণা এন্টিডিসেনটেরিকা, ভাইটিস ভিনিফেরা, মধুকা ইন্ডিকা এবং উষ্ণরটিয়া ফ্রুটিকোসা সহ অন্যান্য ভেষজ উপাদানের নির্যাস।
নির্দেশনা:
এমোসিড সিরাপ-
- ডিসেনটেরি (এমোবিক ও ব্যাসিলারী )
- জিয়ারডিয়াসিস
- হেলমিস্থিয়াসিস
- ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (কোলাইটিস, ক্রোনস্ ডিজিজ) এ নির্দেশিত।
এছাড়া এমোসিড সিরাপ হেপাটিক এমোয়েবিয়াসিস, হেপাটোস্প্রিনোমেগালি ও ইনটেস্টাইনাল পরজীবীর বিরুদ্ধে কার্যকারী।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি :
৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ১/২ – ১ চা চামচ (২.৫ – ৫ মি.লি.) দিনে ২-৩ বার খাওয়ার পর ৭-১৪ দিন ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। ৬ – ১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ১ চা চামচ (৫ মি.লি.) দিনে ৩ বার খাওয়ার পর ৭-১৪ দিন ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

১২ বছরের উপরে এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ২ চা চামচ (১০ মি.লি.) দিনে ৩ বার খাওয়ার পর ৭-১৪ দিন ধরে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। কোলাইটিসের ক্ষেত্রে এমোসিড সিরাপ ৩ মাস ধরে সেবন করা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
এটি নিরাপদ ও সুসহনীয়। প্রাকৃতিক উপায়ে কাজ করে বিধায় অন্যান্য পরজীবি বিরোধী ওষুধের ন্যায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন বমি বমি ভাব, উদারাময়, মাথা ব্যথা হয় না।
গর্ভকালীন ও স্তন্যদানকালীন সময়ে ব্যবহার:
চিকিৎসা গবেষণা তথ্যানুযায়ী গর্ভকালীন ও স্তন্যদানকালীন সময়ে এর ব্যবহার কোন সমস্যা সৃষ্টি করে বলে জানা যায়নি তথাপি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার না করা উচিৎ বা ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
সরবরাহ:
১০০ মি.লি. সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত সিরাপ ।
আরও দেখুনঃ